পুরো ভারতেই অনেকটা নাস্তানাবুদ হয়েছে একসময়ের ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেস। দলের মধ্যে থেকেই অনেকের মত, কংগ্রেস সাধারণ জনগণের থেকে দূরে সরে গেছে।
এমন অবস্থায় জনগণের সঙ্গে ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগাতে চাইছে দলটি। সে জন্য আগামী অক্টোবরে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ নামে একটি সম্পর্কযাত্রার ডাক দিয়েছে প্রবীণ দলটি।
রাজস্থানের উদয়পুরে তিন দিনের ‘চিন্তন শিবিরে’ রোববার এ কথা ঘোষণা দেন সাবেক কংগ্রেস সভাপতি ও ওয়ানাডের সংসদ সদস্য রাহুল গান্ধী।
তিনি বলেছেন, দলের সঙ্গে দেশের মানুষের ছিন্ন হয়ে যাওয়া সংযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত ও শক্তিশালী করতে অক্টোবরে দেশজুড়ে এই সম্পর্কযাত্রা করবে কংগ্রেস।
চিন্তন শিবিরের শেষ দিনে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘পার্টিকে বাস্তবতা মেনে নিতে হবে এবং পুনরায় সংযোগের জন্য মানুষের মধ্যে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মেনে নিতে হবে যে জনসাধারণের থেকে আমাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, কিন্তু জনগণ জানে যে কংগ্রেসই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।’
দৃঢ়তার সঙ্গে তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে পুনঃসংযোগের কোনো শর্টকাট নেই এবং দলকে এর জন্য অনেক ঘাম ঝরাতে হবে।
কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী নব সংকল্প শিবিরের শেষ দিনে বলেছেন, ‘‘আমরা গান্ধী জয়ন্তীর ২ অক্টোবর থেকে ‘জাতীয় কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করব। দলের সব যুবক ও সব নেতা যাত্রায় যোগ দেবেন।’’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলে আমার মতো সিনিয়রদের সহজে স্থান দেয়ার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। আমরা জিতব, এটাই আমাদের সংকল্প, এটাই আমাদের নতুন সংকল্প।’
দলীয় কর্মী ও নেতাদের কাছে আবেদন জানিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘কৃষক ও শ্রমিকদের মধ্যে এক বা দুই দিন নয়, কয়েক মাস কাটান।’
তিনি দলের সদস্যদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘নিজেই বিজেপির বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীদের পাশে থেকে লড়াই করবেন। আমি কখনই দুর্নীতিগ্রস্ত ছিলাম না, কোনো টাকা নিইনি এবং আমি ভীত নই। আমরা লড়াই করব।’
রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আমার লড়াই আরএসএস এবং বিজেপির আদর্শের সঙ্গে, তারা যে হিংসা ও ঘৃণা ছড়ায় তার বিরুদ্ধে, এটি আমার জীবনের লড়াই। আমাদের দেশে এত ঘৃণা ছড়াতে পারে আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। আমাদের বিরুদ্ধে বড় শক্তি রয়েছে, আমি এই শক্তিগুলোকে ভয় পাই না।’
রাহুল অভিযোগ করেন, সংবিধান স্বীকৃত বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে ‘পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস’ করা হচ্ছে।