ভারতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির ধর্মকে রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহারের প্রক্রিয়া অব্যাহত। আর এই প্রক্রিয়ায় দুশ’ বছরের ব্রিটিশ দাসত্ব ধামাচাপা দিয়ে ‘মুসলিম দাসত্বের’ প্রসঙ্গ টেনে আনা হচ্ছে।
বিজেপির দিল্লি প্রদেশ কমিটি দাবি করেছে, জাতীয় রাজধানীর সড়কগুলোর নাম ‘মুসলিম দাসত্বের প্রতীক’। তাই এসব নাম বদলানো উচিত। এর মধ্যে রয়েছে তুঘলক রোড, আকবর রোড, আওরঙ্গজেব লেন, হুমায়ুন রোড ও শাহজাহান রোডের নাম।
দিল্লি বিজেপির সভাপতি আদেশ গুপ্ত নয়াদিল্লি মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনকে চিঠি লিখে তুঘলক রোডের নাম পরিবর্তন করে গুরু গোবিন্দ সিং মার্গ, আকবর রোডকে মহারানা প্রতাপ রোড, আওরঙ্গজেব লেনকে আবদুল কালাম লেন, হুমায়ুন রোডকে মহর্ষি বাল্মিকি রোড এবং শাহজাহান রোডকে প্রয়াত জেনারেল বিপিন রাওয়াতের নামে করার পরামর্শ দিয়েছেন। আদেশ গুপ্ত আরও বলেছেন, বাবর লেনের নামকরণ করা হোক স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষুদিরাম বসুর নামে।
এদিকে ইউনাইটেড হিন্দু ফ্রন্ট ও জাতীয়তাবাদী শিবসেনার সদস্যরা মঙ্গলবার কুতুব মিনার কমপ্লেক্সের বাইরে হনুমান চালিসা পাঠ করেন এবং এখানে আইকনিক স্মৃতিস্তম্ভের নাম পরিবর্তন করে ‘বিষ্ণু স্তম্ভ’ করার দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এ সময় ৩০ জনের বেশি আন্দোলনকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ইউনাইটেড হিন্দু ফ্রন্টের আন্তর্জাতিক কার্যনির্বাহী সভাপতি ভগবান গোয়েল দাবি করেছেন, “কুতুব মিনার একটি ‘বিষ্ণু স্তম্ভ’ ছিল, যা ‘মহান রাজা বিক্রমাদিত্য’ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু পরে কুতুবউদ্দিন আইবেক এর কৃতিত্ব নিয়েছিলেন। কমপ্লেক্সে ২৭টি মন্দির ছিল যা আইবেক দ্বারা ধ্বংস করা হয়েছিল। এসবের প্রমাণ পাওয়া যায়। কুতুব মিনার কমপ্লেক্সে এখনও হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি দেখা যায়।”
বিক্ষোভকারীরা কুতুব মিনারের নাম পরিবর্তন করে বিষ্ণু স্তম্ভ করার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘মসজিদের ভেতরে গণেশের মূর্তিগুলো সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত করছে।’
এই নেতারা সম্প্রতি দাবি করেছিলেন যে ২৭টি হিন্দু-জৈন মন্দির ভেঙে প্রাপ্ত সামগ্রী থেকে মিনারটি তৈরি করা হয়েছিল।