পোল্যান্ডে হেনস্তার শিকার হয়েছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত। ওয়ারশতে একটি অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত সের্গেই আন্দ্রিয়েভের ওপর লাল রং ঢেলে দেয় একদল ইউক্রেনপন্থি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত রেড আর্মির সদস্যদের সম্মান জানানোর সময় এ কূটনীতিকের ওপর হামলা হয়।
ওই অনুস্থানের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ইউক্রেনের পতাকা হাতে একদল বিক্ষোভকারী ঘিরে রেখেছে আন্দ্রেয়েভকে।
৯ মে রাশিয়ার বিজয় দিবস। ১৯৪৫ সালের এদিনে জার্মান নাৎসি বাহিনীকে পরাজিত করে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। অন্যদিকে এটিকে ‘পরাজয়ের দিন’ হিসেবে স্মরণ করে নাৎসি অনুসারীরা।
ওই সময়ে ইউক্রেনীয় বিদ্রোহী সেনাবাহিনী বার্লিনের অংশীদার ছিল। তাদের নেতা স্টেফান বান্দেরা একজন আলোচিত নাৎসি সহযোগী। আধুনিক কিয়েভ সরকার তাকে নায়ক হিসেবে দেখে।
পোল্যান্ডে রুশ দূতাবাস গত সপ্তাহে জানিয়েছিল, চলতি বছরের ঐতিহ্যবাহী পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠান বাতিলের প্রস্তাব করেছে পোলিশ কর্তৃপক্ষ। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে এই নোটিশ দেয়া হয় বলে জানায় রুশ দূতাবাস।
মিশনটি বিজয় দিবসের সব আয়োজন বাতিল করলেও সোমবার সামরিক কবরস্থানে আন্দ্রেয়েভের সফরের বিষয়ে অনড় ছিল।
ইউক্রেনপন্থিদের সঙ্গে ওই ঘটনায় রুশ রাষ্ট্রদূত সের্গেই আন্দ্রিয়েভের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম- আরআইএ নভোস্তি।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নব্য-নাৎসিবাদের সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছে। এই হামলা প্রমাণ করে যে, পশ্চিমে ফ্যাসিবাদের পুনর্জন্মের জন্য এ হামলার ছক কষা হয়েছে।’
ইউক্রেনে হামলার জন্য পোল্যান্ড-রাশিয়া সম্পর্ক তলানিতে রয়েছে। নিন্দার পাশাপাশি মস্কোর ওপর আরও নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়ে আসছে ওয়ারশ। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রতিবেশী পোল্যান্ডে ৩০ লাখ ইউক্রেনীয় আশ্রয় নিয়েছিল, যাদের ১০ লাখ পরে বিভিন্ন দেশে চলে যায়।