পাকিস্তানের নবনির্বাচিত সরকারে প্রথম দফায় শপথ নিতে পারেন ১০ থেকে ১২ জন মন্ত্রী। সোম বা মঙ্গলবার এই শপথ অনুষ্ঠান হতে পারে।
একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ।
অবশ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, মন্ত্রিসভা হতে পারে ২৫ সদস্যের। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) থেকে আসতে পারেন ১৪ জন, ১১ জন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি)। বাকি একজন মন্ত্রী হবেন জোটের কোনো দলের।
এর আগে রোববার রাতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি এবং তার ছেলে ও পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে হওয়া এই বৈঠকে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম চূড়ান্ত হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই দুই নেতার আরও বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে আসিফ আলি জারদারি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজকে প্রথম দফায় জোটের সব অংশীদারকে মন্ত্রিসভায় পদ দেওয়ার পরামর্শ দেন। আর দ্বিতীয় দফায় পিপিপি মন্ত্রিসভায় যোগ দেবে বলে জানান তিনি।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রথম দফায় হয়তো মন্ত্রীদের শপথ হতে পারে সোম বা মঙ্গলবার। এই দফায় ১০ থেকে ১২ জন বা তার কিছু কম-বেশি সদস্য শপথ নিতে পারেন।
শনিবার আসিফ আলি জারদারি একজন সাংবাদিককে জানিয়েছিলেন, পিপিপি মন্ত্রিসভায় যোগ দেবে না। কারণ তিনি চান জোটের অংশীদারদের আগে স্থান দেয়া হোক। পরে পিপিপির জ্যেষ্ঠ নেতারা তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ওই বক্তব্যের অর্থ এই নয় যে দল মন্ত্রিসভায় যোগ দেবে না।
বিভিন্ন নাটকীয়তার পর গত ৯ এপ্রিল মধ্যরাতের অনাস্থা ভোটে ৬৯ বছর বয়সী ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রিত্বের অবসান ঘটে। তিনি দেশটির ২২তম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এরপরই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে আবার ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ শরিফ।
দুর্নীতির দায়ে নওয়াজ শরিফ অভিশংসিত হওয়ার পর ২০১৮ সালে চার দলের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ইমরান। তার সরকারের মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত।