রুশ বাহিনীকে হটিয়ে রাজধানী কিয়েভের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেয়ার দাবি করেছেন ইউক্রেনের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার।
স্থানীয় সময় শনিবার তিনি বলেন, ‘গোটা কিয়েভ অঞ্চল দখলদার মুক্ত হয়েছে।’
এদিকে রাশিয়ার সেনারা সরে যাওয়ায় মস্কো-কিয়েভের মধ্যে শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রধান আলোচক ডেভিড আরাখামিয়া।
গেল কয়েক সপ্তাহ রাজধানীকে ঘিরে কয়েকটি শহর ও গ্রামে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। এরপরই শনিবার রুশ বাহিনী সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এ বিষয়ে মস্কোর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রুশ বাহিনী কিয়েভের কাছে দখল করা হসটোমেল বিমানবন্দর থেকে সেনা ও সমরাস্ত্র সরিয়ে নিয়েছে উল্লেখ করে ইউক্রেনের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ বিমানবন্দরে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ উড়োজাহাজ ধ্বংসের চিহ্ন রেখে গেছে দখলদার রুশ সেনারা।’
কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইরপিন শহর কর্তৃপক্ষ জানায়, কয়েক দিনের ভয়াবহ সংঘর্ষে সেখানে দুই শতাধিক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
রুশ রকেট হামলা থেকে বাঁচতে শহরটির বিভিন্ন স্থাপনার বেজমেন্টে আশ্রয় নেয়া প্রায় ৭০ হাজার মানুষ বের হয়ে এসেছে।
যুদ্ধের ভয়াবহতা স্পষ্ট হয়ে আছে রাজধানী কিয়েভের লাগোয়া বুচা শহরে।
শহর কর্তৃপক্ষ দাবি করেন, রুশ সেনারা পালিয়ে যাওয়ার সময় নির্বিচারে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে।
বার্তা সংস্থা বিবিসি, সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বুচা শহরের একটি সড়কের ওপর কমপক্ষে ২০টি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
শান্তি আলোচনা
রাজধানী কিয়েভ থেকে রুশ সেনারা সরে যাওয়ায় মস্কো-কিয়েভের মধ্যে শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে গেছে। এমন মন্তব্য করেন ইউক্রেনের প্রধান আলোচক ডেভিড আরাখামিয়া।
শনিবার তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আলোচনার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী শুক্রবার এই দুই দেশের প্রতিনিধিরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা শুরু করবে। ক্রিমিয়া ছাড়া রাশিয়া যেকোনো বিষয়ে শর্তহীন আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে।’