ইউক্রেনে চলমান রুশ সামরিক অভিযানের মধ্যেই এই প্রথমবারের মতো গতকাল রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের একটি তেলের ডিপোতে ইউক্রেন হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। ফলে ইউক্রেনে রুশ সেনাদের সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
গোয়েন্দা তথ্যের আলোকে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, বেলগরোদ শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে থাকা ইউক্রেনের খারকিভ শহর ঘিরে রাখা রুশ সেনাদের সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ ছাড়া ইউক্রেনে রুশ সেনাদের জ্বালানি ও গোলাবারুদ সরবরাহের ক্ষেত্রেও স্বল্পমেয়াদি চাপ সৃষ্টি করবে।
বেলগরোদ শহরের আঞ্চলিক গভর্নর ব্যাচেস্লাভ গ্লাডকভ তেলের ডিপোতে হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। হামলার পরপরই স্থানীয় বাসিন্দাদের সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। এই ঘটনায় দুজন আহতের বিষয়টিও জানিয়েছেন গভর্নর।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইউক্রেনের দুটি হেলিকপ্টার সীমান্ত অতিক্রম করে তেলের ডিপোতে হামলা চালায়। তবে ইউক্রেন তেলের ডিপোতে হামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
খারকিভ থেকে বেলগরোদের দূরত্ব ৬০ কিলোমিটার হলেও ইউক্রেন সীমান্ত থেকে শহরটির দূরত্ব মাত্র ৩০ কিলোমিটার।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে শান্তি আলোচনার অংশ হিসেবে ইস্তাম্বুলে বৈঠকেও সুনির্দিষ্ট অস্ত্রবিরতির কোনো রূপরেখা আসেনি। এদিকে পশ্চিমা বিশ্ব একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করছে রাশিয়ার ওপর। গ্যাসের ওপর নির্ভর করে পাল্টা জবাব দিচ্ছে রাশিয়াও।