ইউক্রেনে চলছে রাশিয়ার সামরিক অভিযান। ইউক্রেন ও পশ্চিমাদের দাবি, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে রুশ সেনারা। এরই মধ্যে ১৭ হাজারের বেশি রুশ সেনা হত্যার দাবি করেছে ইউক্রেন। যদিও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩৫১ রুশ সেনা নিহত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইউক্রেন ও নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিভ্রান্ত করছেন তার উপদেষ্টারা।
এবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মস্কোভিত্তিক সাংবাদিকদের বলেছেন, শুধু যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ই নয়, পেন্টাগনের কাছেও ইউক্রেন পরিস্থিতিতে ক্রেমলিনে কী ঘটছে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই।
তিনি বলেন, ‘তারা বুঝতেই পারে না ক্রেমলিনে কী ঘটছে। তারা প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বোঝে না, তারা বোঝে না কীভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং তারা আমাদের কাজের ধরন বোঝে না।’
পেসকভ আরও বলেছেন, ‘এটি উদ্বেগজনক কারণ এই ধরনের ভুল-বোঝাবুঝি ভুল সিদ্ধান্তের দিকে নিয়ে যায়, যার পরিণতি আসলে খারাপই হয়।’
এর আগে ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টারা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিভ্রান্ত করছেন বলে মন্তব্য করেছে হোয়াইট হাউস।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট দপ্তরের দাবি, কতটা বাজেভাবে ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে, তা পুতিনকে বলতে অতিশয় ভীত তার উপদেষ্টারা।
প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা তথ্যের বরাতে বলা হয়, ইউক্রেনে মনোবল হারিয়েছেন রুশ সেনারা। তাদের হাতে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নেই। কমান্ডারের আদেশ অমান্যের ঘটনাও ঘটছে।
হোয়াইট হাউসের ভাষ্য, ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভিযান শুরুর পর একের পর এক নিষেধাজ্ঞার পূর্ণ প্রভাব নিয়েও পুতিনকে জানাচ্ছেন না তার উপদেষ্টারা।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কেট বেডিংফিল্ড বলেন, পুতিন রাশিয়ার ‘সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বিভ্রান্ত হয়েছেন’ বলে তথ্য আছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। ফলে পুতিন ও তার সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘পুতিনের সিদ্ধান্তে যুদ্ধ কৌশলগত মারাত্মক ভুল, যা রাশিয়াকে দীর্ঘ মেয়াদে দুর্বল করার পাশাপাশি বিশ্ব মঞ্চ থেকে ক্রমে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি আমেরিকার এ মূল্যায়নকে ‘অস্বস্তিকর’ আখ্যা দিয়েছেন। তার মতে, সঠিক তথ্য না জানা পুতিন শান্তি আলোচনার মাধ্যমে সংঘাত নিরসনে যথেষ্ট আস্থাশীল নাও হতে পারেন।