বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুদ্ধের পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হওয়ায় চাকরি হারাচ্ছেন ফরাসি জেনারেল

  •    
  • ৩১ মার্চ, ২০২২ ১৭:৪৩

যুক্তরাষ্ট্র যে সময় সঠিকভাবে জানাতে সক্ষম হয়েছে যে রাশিয়া একটি বড় আকারের সামরিক পরিকল্পনা করছে তখন ফ্রান্স বলছিল এমনটা অসম্ভব। একটি সূত্র বলছে, ফ্রান্সের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল থিয়েরি বুরখার্ড এই গোয়েন্দা ব্যর্থতার জেনারেল ভিডাউডকেই দায়ী করেছেন।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাখো যখন একের পর এক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তখন যুক্তরাষ্ট্র গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে বলছিল, যেকোনো সময় ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করতে পারে রাশিয়া। একই সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল যুক্তরাজ্যও। তবে এ ধরনের গোয়েন্দা পূর্বাভাসে পিছিয়ে ছিল ফ্রান্স। ফ্রান্স মনে করছিল, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কিকে অন্যান্য উপায়ে ক্ষমতা থেকে সরানোর পথ থাকতে যুদ্ধের মত ব্যায়বহুল কোনো কিছুর চিন্তা করবে না রাশিয়া। কিন্তু পরে তা ভুল প্রমাণিত হয়।

এবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতি সম্পর্কে ফ্রান্সের এই ভুল বোঝার দায় চাপানো হয়েছে দেশটির সামরিক গোয়েন্দা প্রধান জেনারেল এরিক ভিডাউডের ওপর। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হওয়ায় চাকরি হারাতে যাচ্ছেন তিনি।

তিনি এই ইস্যুতে দায়িত্ব নেয়ার ৭ মাস পরে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি রাশিয়ার সামরিক গতিবিধির ওপর ‘অপর্যাপ্ত অপর্যাপ্ত তথ্য সরবরাহ করায় তাকে দোষারোপ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোয়েন্দাবৃত্তিতে তার দক্ষতার অভাবও রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র যে সময় সঠিকভাবে জানাতে সক্ষম হয়েছে যে রাশিয়া একটি বড় আকারের সামরিক পরিকল্পনা করছে তখন ফ্রান্স বলছিল এমনটা অসম্ভব। একটি সূত্র বলছে, ফ্রান্সের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল থিয়েরি বুরখার্ড এই গোয়েন্দা ব্যর্থতার জেনারেল ভিডাউডকেই দায়ী করেছেন।

এদিকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।

ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।

এখন পর্যন্ত কোনো স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকরের সম্ভাবনা দেখা যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর