বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউক্রেনে দেড় হাজার বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাল জার্মানি

  •    
  • ২৬ মার্চ, ২০২২ ১৫:৪১

নতুন এই অস্ত্র পাঠানোর আগে ইউক্রেনীয় বাহিনী জার্মানির কাছ থেকে ১ হাজার ট্যাংক প্রতিরোধী অস্ত্র ও ৫০০ স্টিংগার টাইপ ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপ করার মিসাইল লঞ্চার পেয়েছে।

রুশ হামলার মুখে পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে অস্ত্র সহায়তা চেয়ে আসছে ইউক্রেন। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে অস্ত্র সহায়তা পাঠিয়েছে জার্মানি।

কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ হাজার ৫০০ অ্যান্টি-এয়ারক্র্যাফট ক্ষেপণাস্ত্র ‘স্ট্রেলা’ এবং ১০০টি এমজিথ্রি মেশিনগান জার্মানি থেকে ইউক্রেনে পৌঁছেছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপরই দেশটিতে অভিযান শুরু করে রুশ সেনারা। এর আগেই যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বারবার ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের আশঙ্কা প্রকাশ করছিল। ফলে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা দিয়ে এলেও জার্মানি কোনো ধরনের সমরাস্ত্রগত সহযোগিতা করেনি। বলা যায়, ইউরোপে অন্যান্য দেশের তুলনায় রাশিয়ার সঙ্গে জার্মানির সম্পর্ক বেশ উষ্ণই ছিল।

কিন্তু ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরু হলে পরিস্থিতি বদলাতে থাকে।

নতুন এই অস্ত্র পাঠানোর আগে ইউক্রেনীয় বাহিনী জার্মানির কাছ থেকে ১ হাজার ট্যাংক প্রতিরোধী অস্ত্র ও ৫০০ স্টিংগার টাইপ ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপ করার মিসাইল লঞ্চার পেয়েছে।

এর আগে যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংসদীয় সূত্রে এএফপিকে জানানো হয়েছিল, ২ হাজার ট্যাংক প্রতিরোধী অস্ত্র ইউক্রেনে পাঠানো হবে।

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্নালিনা বায়েরবক বুধবার জার্মান সংসদের উদ্দেশে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরাই ইউক্রেনে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করছি। এই বিষয়টি আমাদের গর্বিত করছে না। বরং ইউক্রেনকে সাহায্য করতে আমাদের এমনটা করতেই হতো।’

বায়েরবকের পক্ষ থেকে জানা যায়, আসছে দিনগুলোতে ইউক্রেনে আরও সমরাস্ত্র পাঠানোর বিষয়ে জার্মান সরকার দেশটির অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আরও সমরাস্ত্র কেনার বিষয়ে আলোচনা করে নিচ্ছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যুদ্ধ ও সংঘর্ষ চলছে- এমন এলাকায় অস্ত্র না পাঠানোর নীতি রয়েছে জার্মানির। তবে ইউক্রেন পরিস্থিতিতে এরই মধ্যে ঐতিহাসিক এই নীতি থেকে সরে এসেছে জার্মানি।

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেছেন, পুতিনের বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে সহযোগিতা করা আমাদের দায়িত্ব।

এ বিভাগের আরো খবর