গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। ফলে পশ্চিমা বিশ্ব একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে থাকে দেশটির ওপর। নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়াকে ইউক্রেন হামলা থেকে পিছু হটাতে না পারলেও ইউরোপে দেশটির প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভরতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে রুশ জ্বালানি তেলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ইউরোপের কাছেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা এমনই।
কিন্তু আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের জ্বালানিমন্ত্রী সাদ আল-কাবি সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইউরোপের বাজারে রাশিয়ার গ্যাসের বিকল্প পাওয়া ‘ব্যবহারিকভাবেই অসম্ভব।’
সাদ আল-কাবি শুধু কাতারের জ্বালানিমন্ত্রীই নন, তিনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কাতার এনার্জির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাও।
সাক্ষাৎকারে সাদ বলেন, বিশ্ববাজারের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস রাশিয়া সরবরাহ করে। দেশটির তেল-গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরিকল্পনা নেই কাতারের। কাতার মনে করে, জ্বালানিকে রাজনীতির বাইরে রাখা উচিত।
এদিকে ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার ওপর একের পর এক অবরোধ আরোপের জবাবে প্রাকৃতিক গ্যাসকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া। প্রাথমিক অবস্থায় রুশ মুদ্রার মান পুনরুদ্ধারে গ্যাস কূটনীতি ভালোই ফল দিয়েছে।
কাতার মনে করে, জ্বালানিকে রাজনীতির বাইরে রাখা উচিত।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞায় বৈদেশিক মুদ্রায় আস্থা হারিয়েছে তারা। তাই ইউক্রেন ইস্যুতে রুশবিরোধী অবস্থান নেয়া দেশগুলোকে রুশ মুদ্রা রুবলের মাধ্যমে গ্যাসের দাম পরিশোধ করতে হবে।’
এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় রুবল। বুধবারই সর্বশেষ তিন সপ্তাহে ডলারের বিপরীতে রুশ মুদ্রার দাম সর্বোচ্চ হয়েছে। এরই মধ্যে ১ ডলারের বিপরীতে ১০০-এর নিচে নেমে ৯৫-এ স্থির হয়েছে রুবল। ইউরোর বিপরীতেও দাম বেড়েছে ৩.৫ শতাংশ। প্রতি ইউরো এখন বিনিময় হচ্ছে ১১০.৫ রুবলে।