ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বোঝাপড়া অনেক দিনের। রুশ বাহিনীর হামলার পর ব্যাপারটি আরও স্পষ্ট। তবে এবার নতুন করে বেরিয়ে এলো আরও তথ্য। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন নাকি ইউক্রেনের জীবাণু গবেষণাগারে অর্থায়ন করেছেন।
হান্টারের ল্যাপটপে পাওয়া ইমেইলে এ তথ্য মিলেছে বলে সূত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবার জানিয়েছে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মনে করা হচ্ছে, বাইডেনের ছেলে ইউক্রেনের বায়োল্যাবগুলোতে বিপজ্জনক প্যাথোজেনের সামরিক গবেষণায় অর্থায়নে জড়িত ছিলেন।
মহামারি সৃষ্টিকারী রোগজীবাণুগুলোর গবেষণায় জৈব অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন ক্ষেত্রে হান্টার বাইডেন কয়েক মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের ব্যবস্থা করতে সহায়তা করেছিলেন বলে দাবি উঠেছে।
যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইল পত্রিকা হান্টারের ল্যাপটপ থেকে পাওয়া ইমেইল এবং চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ছেলে এবং তার অংশীদার রোজমন্ট সেনেকা নামে একটি ফার্মে পাঁচ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছেন।
ফাঁস হওয়া একটি নথিতে দেখা গেছে, একজন কর্মকর্তার সঙ্গে ২০১৪ সালে হান্টার বাইডেন ইউক্রেন নিয়ে কথা বলেছেন। কীভাবে রাশিয়া থেকে ইউক্রেনের সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করা যায় এবং এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র তার ধারণাগুলোকে কোন উপায়ে কাজে লাগাতে পারে তা নিয়ে কথা বলেন তারা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।
এরই মধ্যে কয়েক দফা বৈঠকে বসেছে ইউক্রেন-রাশিয়া। তবে যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে কার্যত কোনো সিদ্ধান্তই আসেনি।