ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর ফলে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে ইউক্রেনীয়দের জন্য ১ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি হোয়াইট হাউস ঘোষণা দিয়েছে, ইউক্রেন থেকে পালিয়ে আসা ১ লাখ শরণার্থীকে স্বাগত জানাবে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও গত ১ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত এই ১৫ দিনে মাত্র ৭ জন ইউক্রেনীয় শরণার্থী গ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের এক মাস পরে এসে শরণার্থী আশ্রয় দেয়ার সিদ্ধান্ত জানাল হোয়াইট হাউস। জাতিসংঘের তথ্যমতে, এরই মধ্যে ইউক্রেন থেকে ৩৬ লাখের বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। শুধু পোল্যান্ডে আশ্রয় নেয়া ইউক্রেনীয়দের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়েছে। এমনকি রাশিয়াতেও ২ লাখ ৭০ হাজার শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে।
হোয়াইট হাউস থেকে দেয়া বার্তায় বলা হয়েছে, মানবিক, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি সহায়তায় সবচেয়ে বড় অনুদান দেয়া দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত।
এ ছাড়া বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, লাখ লাখ ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোকেও সমর্থন দিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।
মানবিক সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বরাদ্দ এক বিলিয়ন ডলার শরণার্থীদের খাবার, আশ্রয়, নিরাপদ পানি ও চিকিৎসাসামগ্রীর জন্য ব্যয় হবে। এ ছাড়া ওয়াশিংটন মানবিক সহায়তা তদারকির জন্য ২৫ জনের একটি দল ঠিক করে দিয়েছে, যারা জাতিসংঘ, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও কিয়েভের সঙ্গে কাজ করবে।
তবে শরণার্থী আশ্রয়ের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র তাদেরই আশ্রয় দেবে যাদের আত্মীয়রা এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক কিংবা স্থায়ী বাসিন্দা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।