বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিনিয়োগের জন্য রাশিয়াই সেরা: পুতিন

  •    
  • ১৭ মার্চ, ২০২২ ০৯:১৯

বিভিন্ন দেশে রুশ ধনকুবেরদের সম্পদ জব্দ করার বিষয়ে আলোকপাত করে পুতিন বলেন, রুশ উদ্যোক্তাদের জন্য এটি একটি শিক্ষা, যাদের বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে অংশীদার বেছে নেয়া শিখতে হবে এবং মনে রাখতে হবে, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিজ দেশের মতো নির্ভরযোগ্য আর কিছুতে নেই।

ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেসব অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করছে তা রাশিয়ার জন্য বড় আঘাত। তবে রাশিয়ার পাশাপাশি এই অবরোধগুলো পুরো বিশ্বকেই আঘাত করছে। বুধবার একটি বৈঠকে এমনটাই বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘তারা অস্ত্র হিসেবে (পশ্চিমা দেশগুলো) রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও অন্যান্য অবরোধ এখন জ্বালানি, খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও চাকরি হারানোর মতো ঘটনা দিয়ে ইউরোপ ও আমেরিকাতেই আঘাত করছে।

বিভিন্ন দেশে রুশ ধনকুবেরদের সম্পদ জব্দ করার বিষয়ে আলোকপাত করে পুতিন বলেন, রুশ উদ্যোক্তাদের জন্য এটি একটি শিক্ষা, যাদের বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে অংশীদার বেছে নেয়া শিখতে হবে এবং মনে রাখতে হবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিজ দেশের মতো নির্ভরযোগ্য আর কিছুতে নেই।

তিনি আরও বলেন, 'আমরা কিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দেখতে পাচ্ছি, যারা নির্লজ্জ চাপের পরও আমাদের দেশে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে তারা অবশ্যই বাড়তি সুবিধা পাবে। আমরা তাদেরও জানি, যারা কাপুরুষ হওয়ায় তাদের অংশীদারদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, রুশ কর্মচারী ও গ্রাহকদের প্রতি দায়িত্ব ভুলে গেছে এবং রাশিয়াবিরোধী প্রচারণায় অংশ নিয়ে কল্পিত মুনাফা অর্জনের জন্য তাড়াহুড়ো করেছে।'

তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমাদের মতো প্রতিহিংসাপরায়ণ হবে না রাশিয়া। রাশিয়া থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদ জব্দ করবে না রুশ প্রশাসন।

একই সঙ্গে বর্তমান অবরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পুতিন বলেন, ‌'আমাদের সমগ্র অর্থনীতি, আমাদের সামাজিক জীবন, প্রতিটি পরিবার, প্রতিটি রুশ নাগরিকের জন্য এটি বড় একটি আঘাত। রাশিয়াকে দুর্বল করার জন্য এটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ, যা ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের আগে থেকেই করা হচ্ছিল।'

তবে পুতিন জোর দিয়ে বলেছেন, রাশিয়া আরও শক্তিশালী হবে। এই অবরোধের মধ্যেও রাশিয়া ২০৩০ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব একের পর এক অবরোধ দিতে থাকে রাশিয়ার ওপর।

তবে পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ, মারিওপোল, সুমিসহ প্রধান শহরগুলোতে লড়াই চলছে।

ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।

এ বিভাগের আরো খবর