বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুতিনকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ আখ্যা বাইডেনের, নিন্দা রাশিয়ার

  •    
  • ১৭ মার্চ, ২০২২ ০৮:৩৫

প্রথমবারের মতো পুতিনের বিষয়ে এত কড়া শব্দ প্রয়োগ করলেন বাইডেন। এর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার নিন্দা জানালেও যুদ্ধাপরাধী শব্দটি এড়িয়ে চলছিল হোয়াইট হাউস।

ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ আখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

স্থানীয় সময় বুধবার হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে বাইডেন এ আখ্যা দেন।

ওই সাংবাদিক বাইডেনের কাছে জানতে চান, তিনি পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী মনে করেন কি না। জবাবে শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘না।’

পরবর্তী সময়ে সাংবাদিককে প্রশ্নটি পরিষ্কার করতে বলেন বাইডেন। পরে সাংবাদিক বিষয়টির পুনরাবৃত্তি করলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি মনে করি তিনি (পুতিন) যুদ্ধাপরাধী।’

আরটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো পুতিনের বিষয়ে এত কড়া শব্দ প্রয়োগ করলেন বাইডেন। এর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার নিন্দা জানালেও যুদ্ধাপরাধী শব্দটি এড়িয়ে চলছিল হোয়াইট হাউস।

বাইডেন তার বক্তব্যে রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে হাসপাতাল ও আবাসিক ভবনে বোমা হামলার অভিযোগ করেন। যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে বিষয়টি নাকচ করা হয়েছে।

বাইডেনের বক্তব্যের এক দিন আগে পুতিনকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ আখ্যা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট।

ওই দিন পুতিনের নিন্দা জানিয়ে সিনেটে উত্থাপিত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, পুতিনের বিষয়ে সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বিরল ঐক্য দেখা গেল ব্যাপকভাবে বিভক্ত কংগ্রেসে।

রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। এতে সায় দেন ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতারাও।

দুই পক্ষের আইনপ্রণেতারা নেদারল্যান্ডসের হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ তদন্তের তাগিদ দিয়েছেন।

দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক (ডিপিআর) ও প্রতিবেশী লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিককে (এলপিআর) রক্ষার কথা বলে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ অভিযানের নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২০১৪ সালে কিয়েভে সামরিক অভ্যুত্থানের পর ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয় অঞ্চল দুটি।

হামলার যুক্তি হিসেবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, দেশটি চায় ইউক্রেনের ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’।

ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।

এ বিভাগের আরো খবর