বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউক্রেনে ন্যাটোর ‘শান্তি মিশন’ চায় পোল্যান্ড

  •    
  • ১৬ মার্চ, ২০২২ ১২:৪৪

পোল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ইয়ারোস্লাভ কাজিনস্কি বলেন, ‘একটি শান্তি মিশনের খুবই দরকার। সেটা ন্যাটো কিংবা অন্য কোনো আন্তর্জাতিক কাঠামোর আওতায় হতে পারে। ইউক্রেনে অপারেশন পরিচালনার সময় তাদের আত্মরক্ষার সক্ষমতাও থাকতে হবে।’

ইউক্রেনে চলছে রুশ সামরিক অভিযান। দেশটি থেকে ৩০ লাখ বাসিন্দা এরই মধ্যে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। প্রধান শহরগুলোতে চলছে যুদ্ধ। এমন অবস্থাতেও মঙ্গলবার পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া ও চেক রিপাবলিকের প্রধানমন্ত্রীরা কিয়েভ সফর করেছেন।

আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর পোল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ইয়ারোস্লাভ কাজিনস্কি ন্যাটোকে ইউক্রেনে একটি ‘শান্তি মিশন’ চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন। এ সময় সেখানে চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

কাজিনস্কি বলেন, ‘একটি শান্তি মিশনের খুবই দরকার। সেটা ন্যাটো কিংবা অন্য কোনো আন্তর্জাতিক কাঠামোর আওতায় হতে পারে। ইউক্রেনে অপারেশন পরিচালনার সময় তাদের আত্মরক্ষার সক্ষমতাও থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এটি এমন এক মিশন হবে, যা শান্তির জন্য কাজ করবে। মানবিক সহায়তা প্রদান করবে। একই সঙ্গে হবে সশস্ত্র ও সুরক্ষিত।’

কিন্তু জেলেনস্কি চান রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা ও ন্যাটোর কাছ থেকে আরও অস্ত্র সহায়তা। তবে যুদ্ধাবস্থাতেও ইউক্রেনে আসার জন্য তিন দেশের নেতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

ইউক্রেনে রাশিয়ার লড়াই শুরুর আগে থেকেই দেশটিকে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো। তবে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পোল্যান্ডসহ তিন ইউক্রেনীয় সদস্য। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার কারণে পরে আর ইউক্রেনকে বিমান সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের মতে এমন পদক্ষেপ ইউক্রেন সংঘাতকে বিশ্বযুদ্ধে নিয়ে যেতে পারে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রাশিয়ার সামরিক অভিযান। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ, মারিওপোল, সুমিসহ প্রধান শহরগুলোতে লড়াই চলছে।

ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।

এ বিভাগের আরো খবর