বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেনা সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ বাড়াচ্ছে কেন অস্ট্রেলিয়া

  •    
  • ১০ মার্চ, ২০২২ ১৪:২৫

অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সেনা ব্যারাক পরিদর্শনের সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী সামরিক বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানোর ঘোষণা দেন। তিনি জানান, ১৮ বছরের মধ্যে সেনার সংখ্যা ১৮ হাজার ৫০০ বাড়িয়ে ৮০ হাজার করা হবে। এর পেছনে রাষ্ট্রের ব্যয় হবে ৩ হাজার ৮০০ কোটি অস্ট্রেলীয় ডলার।

প্রতিরক্ষা বাহিনীতে সক্রিয় সেনার সংখ্যা ২০৪০ সালের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সরকারপ্রধান এমন ঘোষণা দিলেন।

সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর কারণ হিসেবে মরিসন বলেছেন, ‘ক্রমবর্ধমান অনিশ্চিত বৈশ্বিক পরিবেশে’ দেশকে নিরাপদ রাখার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সেনা ব্যারাক পরিদর্শনের সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী সামরিক বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানোর ঘোষণা দেন।

তিনি জানান, ১৮ বছরের মধ্যে সেনার সংখ্যা ১৮ হাজার ৫০০ বাড়িয়ে ৮০ হাজার করা হবে। এর পেছনে রাষ্ট্রের ব্যয় হবে ৩ হাজার ৮০০ কোটি অস্ট্রেলীয় ডলার।

চলতি বছরের মে মাসে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দিতে পারেন মরিসন। এর মাস দুয়েক আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শান্তসময়ে প্রতিরক্ষা বাহিনীতে অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সেনার সংখ্যা বৃদ্ধির ঘোষণা এটি।

মরিসন বলেন, সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের উদার গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া যেসব হুমকি ও যে পরিবেশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা স্পষ্ট করা হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে হওয়া নতুন প্রতিরক্ষা জোট এইউকেইউএস বা অকাস প্রতিশ্রুত ভবিষ্যৎ পরমাণু ক্ষমতাসম্পন্ন সাবমেরিন বহরে নতুন কিছু সেনা নিয়োগ করা হবে বলে জানান মরিসন।

প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মধ্যে অকাস জোটের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়াই হতে যাচ্ছে পরমাণু অস্ত্র না থাকা একমাত্র দেশ, যার হাতে থাকবে পরমাণু শক্তিসম্পন্ন কিছু সাবমেরিন। এগুলো না ভেসে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারবে।

সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার ডাটন বলেন, সম্প্রসারণবাদী সামরিক হুমকিগুলোর বিরুদ্ধে সন্তোষজনক প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন নতুন সেনারা।

তিনি জানান, সাবমেরিনের পাশাপাশি নতুন সেনারা মহাশূন্য, সাইবার অপারেশন, নৌসম্পত্তি এবং ভূমি ও সমুদ্রভিত্তিক যানগুলোতে মোতায়েন করা হবে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারির অভিযানের বিষয়টি তুলে ধরে ডাটন বলেন, ‘এটা সন্দেহাতীতভাবে দরকার।

‘লোকজনের মধ্যে যারা মনে করেন প্রেসিডেন্ট পুতিনের একমাত্র অভিলাষ ইউক্রেন, তারা ইতিহাস বোঝেন না, যেমনটা বোঝেন আমাদের সমরনেতারা।’

ওই সময় চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তিবৃদ্ধির মধ্যে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার ওপর কৌশলত হুমকির বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

এ বিভাগের আরো খবর