ইউক্রেনে চলমান রুশ হামলার প্রেক্ষাপটে শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলে আসছেন, রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘাত এড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। কারণ এর পরিণতি হতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, এমনটি বলা উচিত নয়।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির দাতাদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের রাশিয়ায় হামলা করা উচিত নয়, এমন কথা বলা বন্ধ করা উচিত জো বাইডেনের। এবং আমরা মানবতার বিরুদ্ধে করা এই বিশাল অপরাধকে মেনে নিতে পারি না, আমরা এটা হতে দিতে পারি না, এমনটি চলতে দিতে পারি না।’
এ সময় ন্যাটোকে ‘কাগুজে বাঘ’ হিসেবেও আখ্যায়িত করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের এফ-২২ যুদ্ধবিমানে চীনের পতাকা লাগিয়ে রাশিয়ায় বোমা ফেলা উচিত। তারপর আমরা বলব, এই হামলা চীন করেছে। পরে তারা একে অপরের সঙ্গে লড়াইয়ে লিপ্ত হবে। আমরা তখন বসে বসে দেখব।’ তিনি কথাটা যদিও ঠাট্টা করেই বলেছিলেন। শ্রোতারা সে সময় তার বক্তব্য শুনে হাসাহাসি করে ও হাততালি দেয়।
তার এই বক্তব্য এমন সময় এলো যখন রুশ হামলা থেকে ইউক্রেনের নাগরিকদের রক্ষায় ন্যাটোর প্রতি ইউক্রেনের আকাশে ‘নো-ফ্লাই জোন’ প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। যদিও বড় সংঘাত শুরুর আশঙ্কায় এমনটি করতে নারাজ ন্যাটো।
হোয়াইট হাউস জানিয়ে দিয়েছে, ইউক্রেনের আকাশে ‘নো-ফ্লাই জোন’ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ‘ভালো কোনো পরিকল্পনা নয়।’ এ ধরনের কোনো কিছু কার্যকর করতে গেলে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক সংঘাত বেঁধে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির সর্বোচ্চ পদাধিকারী, ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানের সিনেটর মার্কো রুবিও সিএনএনের এক টকশোতে বলেন, ‘নো-ফ্লাই জোন’ মানে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়া।
রুবিও বলেন, ‘সবাইকে বুঝতে হবে নো-ফ্লাই জোন মানে কী। এটি এমন কোনো নিয়ম নয় যে আপনি চালু করবেন আর সবাই তা মেনে চলবে। এটি রুশ ফেডারেশনের বিমানকে গুলি করে নামানোর ইচ্ছাপোষণ।’