২৪ ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ সেনার সামরিক অভিযান শুরুর পর তৃতীয় দফায় ইউক্রেন ও রাশিয়ার আলোচনা আজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তৃতীয় দফা আলোচনার সম্ভাবনার কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত স্থান ও আলোচনার সময় জানা যায়নি।
এর আগে দুই দেশের প্রতিনিধিদল বেলারুশের পশ্চিমের ব্রেস্ট অঞ্চলে দুই দফা শান্তি আলোচনায় মিলিত হয়।
শেষবারের আলোচনায় বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে উভয় পক্ষই মানবিক করিডর স্থাপনে সম্মত হয়েছিল। পরে রাশিয়া সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১০টা থেকে সামরিক অভিযান বন্ধ করে রাশিয়া, যাতে করে দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের (ডিপিআর) আজভ সমুদ্রতীরের শহর মারিওপোলের বাসিন্দারা নিরাপদে গন্তব্যে যেতে পারেন।
ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা ডিপিআরের আরেক শহর ভলনোভাখাতেও মানবিক করিডর স্থাপন করা হয়েছিল।
পরে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গেলে মানবিক করিডর স্থাপনের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। রাশিয়া ও ইউক্রেন একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার জন্য দোষারোপ করে।
এর আগে স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক (ডিপিআর) ও প্রতিবেশী লুগানস্ক পিপলস রিপাবলিককে (এলপিআর) রক্ষার কথা বলে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২০১৪ সালে কিয়েভে সামরিক অভ্যুত্থানের পর ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয় অঞ্চল দুটি।
হামলার যুক্তি হিসেবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, দেশটি চায় ইউক্রেনের ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।