ইউক্রেনে চলমান রুশ সামরিক অভিযান যুদ্ধে মোড় নিয়েছে। যদিও রাশিয়া ও ইউক্রেন কেউই আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণা করেনি। এরই মধ্যে খেরসন শহরের দখল নিয়েছেন রুশ সেনারা। গতকাল ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দখলে নিয়েছেন রুশ সেনারা। এরপরও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টোনি ব্লিঙ্কেন বিশ্বাস করেন, যুদ্ধে জিততে পারে ইউক্রেন।
বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্লিঙ্কেন যদিও বলতে পারেননি, রাশিয়া-ইউক্রেন লড়াই ঠিক কত দিন স্থায়ী হবে। তিনি জোর দিয়ে যা বলেছেন তা হলো, ইউক্রেনের পরাজয় অনিবার্য নয়।
তিনি বলেন, ‘যদি মস্কোর উদ্দেশ্য হয় ইউক্রেনের বর্তমান সরকারকে হটিয়ে মস্কোপন্থি কোনো পুতুল সরকারকে দেশটির ক্ষমতায় বসাবে, তবে ইউক্রেনের ৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ কোনো না কোনো উপায়ে তা প্রত্যাখ্যান করতে থাকবে।’
এরই মধ্যে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের বিষয়ে পুতিনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি বলে মনে করেন ব্লিঙ্কেন।
এদিকে সামরিক অভিযান শুরুর পর ৯ হাজার ১৬৬ জনের মতো রুশ সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ফেসবুক পোস্টে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, গত ৯ দিনে রাশিয়ার ২৫১টি ট্যাংক ধ্বংস করেছে ইউক্রেনের বাহিনী।
৯ দিনে রাশিয়ার ৯৩৯টি সাঁজোয়া যান, ১০৫টি আর্টিলারি সিস্টেম, ৫০টি এমএলআরএস, ১৮টি বিমানবিধ্বংসী ওয়ারফেয়ার সিস্টেম, ৩৩টি বিমান, ৩৭টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে।
এর বাইরে রাশিয়ার ৪০৪টি যানবাহন/মোটরযান, দুটি লাইট স্পিডবোট, ৬০টি জ্বালানি ট্যাংক, তিনটি ড্রোন ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পোস্টে উল্লেখ করা হয়, রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতির ডেটা আপডেট করা হচ্ছে। যুদ্ধের তীব্রতার কারণে হিসাব নিরূপণ বেশ জটিল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণার পর ইউক্রেনে ৯ দিন ধরে সামরিক অভিযানে আছেন রুশ সেনারা। অভিযানের অষ্টম দিন ইউক্রেনের খেরসন শহর দখলে নেয় রাশিয়ার বাহিনী।
নবম দিনে ইউক্রেনের জাপোরিজ্জায় ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করে কিয়েভ। বিদ্যুৎকেন্দ্রে ধরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলেও জানিয়েছে ইউক্রেন।