ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ১০৮টি পৌরসভার ভোটের ফলাফলে তৃণমূল কংগ্রেসের সবুজ ঝড়ে ধরাশায়ী রাজ্যের বিরোধী শিবির।
বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস এবারের পৌর ভোটে তৃণমূলের অপ্রতিরোধ্য জয়ের ধারার মুখে কোনো লড়াই দিতে পারেনি।
রোববারের ১০৭টি পৌরসভার অনুষ্ঠিত ভোটে বুধবারের গণনায় ১০২টি পৌরসভা তৃণমূল কংগ্রেস তাদের দখলে রেখেছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই তিনটি পৌরসভা বজবজ, সাঁইথিয়া এবং সিউড়িতে জয় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
দাঁইহাট, নৈহাটি, হালিশহর, ঘাটাল, গুসকরা, কাঁচরাপাড়া পৌরসভাসহ শাসক দলের দাপটে ৩১টি পৌরসভা এবার বিরোধীশূন্য হয়েছে।দার্জিলিং পৌরসভা দখল করেছে নতুন রাজনৈতিক দল অজয় অ্যাডওয়ার্ডের হামরো পার্টি এবং নদীয়ার তাহেরপুর পৌরসভা দখলে রেখেছে বামেরা।
এগরা, বেলডাঙ্গা, চাঁপদানি এই চারটি পৌরসভায় ত্রিশঙ্কু ফলাফল হয়েছে। উত্তর চব্বিশ পরগনার ২৫টি পৌরসভাই তৃণমূলের দখলে। বীরভূমের পাঁচটি পৌরসভাও তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গড় বালুরঘাট পৌরসভা, দিলীপ ঘোষের খড়গপুর, অধিকারী পরিবারের গড় কাঁথি পৌরসভা ও অর্জুন সিংয়ের ভাটপাড়া এবং মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর গড় বহরমপুর পৌরসভা এবার তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে।
তৃণমূল নেতা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে বলেন, ‘সন্ত্রাস নয়, মানুষের পাশে থাকব। কারও প্রতি কোনো ঘৃণা নয়। বিবিধের মাঝে মিলনের এই জয়। তৃণমূল কংগ্রেস এবং সমস্ত বিরোধী দলের যারা জয়লাভ করেছেন, সবাইকে শুভেচ্ছা। সবাই মিলে রাজ্যের উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যাব।’
অন্যদিকে পৌরসভার ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের এমন বড় জয় নিয়ে তাদের দৈনিক মুখপত্র জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘এ কথা নিশ্চিত করে বলা যায়, তৃণমূল কংগ্রেস জয়ের নিরিখে এত যোজন এগিয়ে থাকবে যে বাকিদের দুরবিন দিয়ে দেখতে হবে।’