ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রুশ সেনাদের সঙ্গে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়েছে। যুদ্ধের পর শহরটি এখন ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে।
স্থানীয় গভর্নর ওলেগ সিনেগুবভ টেলিগ্রামে এ কথা জানিয়েছেন বলে রোববার এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আঞ্চলিক প্রশাসনের এই প্রধান বলেন, ‘খারকিভ সম্পূর্ণরূপে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইউক্রেন সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে রাশিয়ার সেনাসদস্যদের হটিয়ে দিয়েছে।’
সীমান্তে টানটান উত্তেজনার পর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণার পর ওই হামলা শুরু হয়। রাশিয়ার সামরিক অভিযানের চতুর্থ দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় লড়াই চলছে রুশ ও ইউক্রেনীয় সেনাদের।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ইউক্রেনে অন্তত ২৪০ জন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে জাতিসংঘ। আন্তরাষ্ট্রীয় সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত ৬৪ জন নিহত হয়েছেন।
তিন দিনে হামলায় রাশিয়ার ৪ হাজার ৩০০ সেনা নিহতের দাবি করেছে ইউক্রেন। সেই সঙ্গে রাশিয়ার ২৭টি বিমান ও ২৬টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে দেশটি।
জাতিসংঘ মনে করছে, হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেশি হতে পারে। কারণ অনেক জায়গায় হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর ইউক্রেনের জন্ম। রাশিয়া ইউক্রেনকে সব সময় পশ্চিমা বলয় থেকে মুক্ত রাখতে মরিয়া। প্রতিবেশী বেলারুশও মস্কোপন্থি। পূর্ব ইউরোপে রাশিয়ার আধিপত্য একচ্ছত্র।
এই অবস্থায় সামরিক সক্ষমতা দেখাতে সম্প্রতি সামরিক মহড়া বড় পরিসরে শুরু করে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো । ইউক্রেনকে জোটে ভেড়াতে চেষ্টা চালাচ্ছে জোর। আর এখানেই আপত্তি রাশিয়ার। তাদের দাবি, ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের যোগ দেয়া রাশিয়ার সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। এ ছাড়া সীমান্তে ন্যাটোর সামরিক মহড়ায় উদ্বিগ্ন মস্কো।
এমন পরিস্থিতিতে পাল্টা ব্যবস্থা নেয় রাশিয়া। সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করে তারা। এরপরই একপর্যায়ে যুদ্ধে জড়ায় রাশিয়া।