রাশিয়ার আক্রমণের মধ্যে ইউক্রেনে আটকে পড়া ৭০৯ ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়ে আনল এয়ার ইন্ডিয়ার তিনটি উড়োজাহাজ।
বাংলাদেশ তার আটকে পড়া নাগরিকদের পাশের দেশ পোল্যান্ডে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ভারত সরকারও অনেকটাই একই কাজ করল। পাশের দেশ রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্ট ও হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্ট থেকে তার নাগরিকদের উদ্ধার করে ভারত।
শনিবার সন্ধ্যায় ২১৯ জনকে নিয়ে মুম্বাইয়ে, রাত পৌনে ৩টায় মিনিটে ২৫০ ভারতীয়কে নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ বিমানটির বেশির ভাগ যাত্রী ছিলেন পশ্চিম ইউক্রেনের চেরনোভিৎসের বুকোভিনিয়ান স্টেট মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করে। রোমানিয়া-ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে এই চেরনোভিৎস।
রোববার সকালে হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট থেকে তৃতীয় ফ্লাইটে ২৪০ ভারতীয়কে নিয়ে আসা হয় দিল্লিতে।
ভোরে বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিমানবন্দরে উদ্বাস্তুদের গোলাপ দিয়ে স্বাগত জানান।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে যখন রাশিয়া সামরিক আক্রমণ শুরু হয়, তখন থেকে ইউক্রেনের আকাশসীমা বেসামরিক বিমান চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। তাই ভারতীয় উদ্ধারকারী বিমানগুলো প্রতিবেশী দুই দেশের দুই শহর বুখারেস্ট ও বুদাপেস্ট থেকে চালানো হচ্ছে।
যেসব ভারতীয় নাগরিক ইউক্রেন-রোমানিয়া সীমান্ত এবং ইউক্রেন-হাঙ্গেরি সীমান্তে পৌঁছেছে, তাদের সড়কপথে বুখারেস্ট ও বুদাপেস্টে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস শনিবার এক টুইট বার্তায় ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে পূর্ব সমন্বয় ছাড়া ইউক্রেনের ভারতীয় নাগরিকদের সীমান্তের কোনো পোস্টে যেতে নিষেধ করেছে।
দূতাবাস বলেছে, যেসব ভারতীয় নাগরিক পূর্বঘোষণা ছাড়াই সীমান্ত চৌকিতে পৌঁছেছে, তাদের চেকপোস্টে সহায়তা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমের শহরগুলোয পানি, খাবার, বাসস্থান এবং মৌলিক সুযোগ-সুবিধাগুলো এখনও সহজলভ্য। তাই পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ না জেনে সীমান্তের চেকপয়েন্টে পৌঁছানোর বদলে নিজ নিজ আবাসে অবস্থান করা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ।