বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউক্রেনের ওপর চলছে সাইবার হামলাও

  •    
  • ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৬:৫৩

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার আগেই বুধবার বেশ কয়েকটি ইউক্রেনীয় ব্যাংক ও সরকারি বিভিন্ন বিভাগের ওয়েবসাইটগুলো সাইবার হামলায় অকেজো হয়ে যায়। ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়া থেকেই সাইবার হামলা চালানো হচ্ছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ইউক্রেনে হামলা শুরু করে দেশটি। উত্তর ও পূর্ব সীমান্তে ইউক্রেন ও রুশ সেনাদের সংঘর্ষ চলছে, ক্রিমিয়া দিয়ে ইউক্রেনে ঢুকছে রুশ সেনা। দেশটির রাজধানীসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। স্থল ও আকাশপথে হামলার পাশাপাশি ইউক্রেনের সাইবার জগতেও হানা দিয়েছে রাশিয়া।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরও সাইবার হামলার শিকার হচ্ছে ইউক্রেন। দেশটির সরকার বলছে, এবারের হামলা ‘সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রায়’।

এর আগে পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার আগেই বুধবার বেশ কয়েকটি ইউক্রেনীয় ব্যাংক ও সরকারি বিভিন্ন বিভাগের ওয়েবসাইটগুলো সাইবার হামলায় অকেজো হয়ে যায়। ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়া থেকেই সাইবার হামলা চালানো হচ্ছে।

ইন্টারনেট সংযোগ কোম্পানি নেটব্লক্স বলছে, ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ে ডিডিওএস আক্রমণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

ডিডিওএস অ্যাটাক করা হয় সাধারণত কোনো প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রদানে বাধা প্রদান করার জন্য। এই আক্রমণের ফলে কোনো ওয়েবসাইট কিংবা সার্ভারকে সাময়িক সময়ের জন্য কিংবা অনির্দিষ্টকালের জন্য ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

নেটব্লক্স জানিয়েছে, বুধবার বিকেল থেকেই ইউক্রেনের ওয়েবসাইটগুলোতে ডিডিওএস আক্রমণ শুরু হয়। এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আক্রমণের মাত্রা তীব্র হতে থাকে।

একজন গবেষক জানিয়েছেন, ‘আজকের সাইবার আক্রমণের পরেও সামরিক ও ব্যাংকিং ওয়েবসাইটগুলোকে দ্রুত পুনরুদ্ধার করা গেছে কারণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে।’

এর পরেও আক্রমণ চলছেই। এখনো সিকিউরিটি সার্ভিসের ওয়েবসাইটে সমস্যা রয়েই গেছে। যা ঘটনার তীব্রতা স্পষ্ট করছে।

গত সপ্তাহে, একই রকম হামলায় ইউক্রেনের অল্পসংখ্যক ওয়েবসাইট অফলাইনে চলে যায়।

ইউক্রেনের মিত্র দেশ যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার কর্তৃপক্ষরা অভিযোগ করেছে, ক্রেমলিনের সরাসরি নির্দেশে রাশিয়ার হ্যাকাররা ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে।

তবে মস্কো হ্যাকিংসংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

গত জানুয়ারিতে ইউক্রেন অভিযোগ করে, রাশিয়া তাদের ৭০টি ওয়েবসাইটে হামলা চালিয়েছে। এ সময় কিছু ওয়েবসাইট হ্যাক করে লিখে দেয়া হয়, ‘সবচেয়ে খারাপের জন্য প্রস্তুত হও’।

যদিও সে সময় বেশির ভাগ ওয়েবসাইটকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়।

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর আগে মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঘোষণা করেছে, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সাহায্যের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপজুড়ে একটি সাইবার র‍্যাপিড রেসপন্স টিম (সিআরআরটি) মোতায়েন করা হয়েছে।

ছয়টি স্বেচ্ছাসেবক দেশ থেকে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত দলটি সর্বশেষ সাইবার হামলায় ইউক্রেনকে সহযোগিতা করেছিল কি না তা জানা যায়নি।

রাশিয়া এর আগেও এ ধরনের ‘হাইব্রিড ওয়ারফেয়ার’ কৌশল প্রয়োগ করেছিল। ২০০৮ ও ২০১৪ সালে জর্জিয়া ও ক্রিমিয়া আক্রমণের সময় রাশিয়া উভয় দেশেই সাইবার আক্রমণ চালায়।

এর আগেও ইইউ, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকটি সাইবার আক্রমণের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছিল। তবে মস্কো সব সময় বিষয়গুলো অস্বীকার করে আসছে ও এ ধরনের অভিযোগকে ‘রাশিয়া বিদ্বেষ’ হিসেবে বলেছে।

এ বিভাগের আরো খবর