ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে নিজ ভাষণে পুতিন বলেন, ‘এ অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কিয়েভের শাসকদের হাতে গত ৮ বছর ধরে গণহত্যার শিকার হওয়া জনগণকে রক্ষা করা। একই সঙ্গে ইউক্রেন থেকে নাৎসিবাদ হটানো ও অসামরিকীকরণের অভিযানও এটি। এ ছাড়াও সাধারণ জনগণের ওপর যারা নানা ধরনের বর্বরতা ও জুলুম চালিয়ে আসছে, তাদের বিচারের সম্মুখীন করা।’
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার হামলার মুখে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ছাড়ছেন দেশটির নাগরিকরা। কিয়েভের রাজপথে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। অধিকাংশ গাড়ির গন্তব্যই পশ্চিম ইউক্রেনের দিকে। তবে কিছু গাড়িকে পূর্ব ইউক্রেনের দিকেও যেতে দেখা গেছে।
কিয়েভের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।
এদিকে ইউক্রেনের বর্ডার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ইউক্রেনের পূর্ব ও উত্তর সীমান্তের এলাকা ও ক্রিমিয়া থেকে হামলা করা হচ্ছে ইউক্রেনে। এই হামলার লক্ষ্য ছিল, বর্ডার ইউনিট, পেট্রল ও চেকপয়েন্টগুলো। হামলা করতে রুশরা কামান, ভারী যুদ্ধ সরঞ্জাম ও হালকা অস্ত্র ব্যবহার করছে।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী, ন্যাশনাল গার্ড ও বর্ডার গার্ড পাল্টা গুলি চালাচ্ছে।
সীমান্ত ছাড়াও ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরেও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গুলির শব্দ শোনা গেছে দেশটির প্রধান বিমানবন্দরেও।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুবেলা এক টুইটবার্তায় বলেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে পুরোদমে আক্রমণ শুরু করেছেন। শান্তিকামী ইউক্রেনের শহরগুলো এখন হামলার শিকার। এটি আগ্রাসনের যুদ্ধ। ইউক্রেন অবশ্যই নিজেকে রক্ষা করবে। বিশ্ব পারে পুতিনকে থামাতে এবং এখনই সময় সেই পদক্ষেপ নেয়ার।’