সম্প্রতি তুরস্ক ও গ্রিস সীমান্তে ১৯ জন অভিবাসী প্রত্যাশীর মৃত্যুর পরও টনক নড়েনি গ্রিসের। এমন অভিযোগ করেছে তুরস্ক।
ডেইলি সাবাহর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আঙ্কারা দাবি করেছে, এথেন্স অমানবিক কার্যকলাপ চালিয়েই যাচ্ছে। জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তারা অভিবাসীদের পুশব্যাক করছে।
তুরস্কের কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, সোমবার তারা ৯৫ জন অভিবাসীবাহী একটি নৌকা উদ্ধার করেছে। এসব অভিবাসীর গ্রিস থেকে ঠেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের অভিবাসী আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
গ্রিসের পক্ষ থেকে এই পুশব্যাকের ঘটনা এমন সময় ঘটল যখন এক সপ্তাহ আগেই গ্রিস থেকে ফেরত পাঠানো শীতে জমে মৃত্যু হওয়া ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে তুরস্ক পুলিশ। মৃত এই ১৯ অভিবাসীর থেকে গরম কাপড় ও মূল্যবান সামগ্রী রেখে দিয়ে তাদের তুরস্কের দিকে ঠেলে দেয়া হয়। পথেই তারা শীতে জমে মারা যান।
যদিও গ্রিস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্বদরবারে গ্রিসের এমন অমানবিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, গ্রিসকে অবশ্যই স্থল ও জলসীমা উভয় স্থানেই এমন অমানবিক কর্মকাণ্ড থামাতে হবে।
এশিয়া থেকে উন্নত জীবনের প্রত্যাশায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে যাওয়া ব্যক্তিরা তুরস্ক হয়েই সেখানে যান। বেশির ভাগই চেষ্টা করে গ্রিসে ঢোকার। কিন্তু এসব অভিবাসী নিয়ে গ্রিসের সাম্প্রতিক অমানবিক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাচ্ছে তুরস্ক।
এভাবে শরণার্থী পুশব্যাক করা আন্তর্জাতিক শরণার্থী সুরক্ষা চুক্তির লঙ্ঘন। কোনো মানুষকেই বহিষ্কার করা কিংবা এমন দেশে ফেরত পাঠানো উচিত নয়, যেখানে তার নিরাপত্তা ও জীবনের ঝুঁকি আছে।