বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মহাকাশযানের কবরস্থানেই শেষ পরিণতি আইএসএসের

  •    
  • ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৩:০৬

পয়েন্ট নিমোতে এ পর্যন্ত অনেক মহাকাশযান, স্পেস জাংক এসে বিধ্বস্ত হয়েছে বিধায় এ অঞ্চলকে বলা হয় মহাকাশযানের সমাধিক্ষেত্র। রাশিয়ার মহাকাশ স্টেশন ‘মির’ ২০০১ সালে এখানে এসেই পড়েছিল।

মহাকাশে শুধু দুটি স্টেশন সচল রয়েছে। এর মধ্যে একটি চীনের নিজস্ব, অন্যটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস)। কিন্তু আইএসএস সচল থাকতে পারবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। এরপরে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে এটিকে নামিয়ে আনা হবে, এমনটাই জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাসা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন প্রশান্ত মহাসাগরের ‘পয়েন্ট নিমো’ নামে পরিচিত একটি স্থানে এসে পড়বে।

পয়েন্ট নিমোতে এ পর্যন্ত অনেক মহাকাশযান, স্পেস জাংক এসে বিধ্বস্ত হয়েছে বিধায় এ অঞ্চলকে বলা হয় মহাকাশযানের সমাধিক্ষেত্র। রাশিয়ার মহাকাশ স্টেশন ‘মির’ ২০০১ সালে এখানে এসেই পড়েছিল।

তবে আইএসএসের সমুদ্রে বিলীন হওয়ার মাধ্যমে লো অরবিটালে যেকোনো কার্যক্রম পরিচালনার সমাপ্তি টানতে চায় নাসা।

সংস্থাটি জানিয়েছে, ভবিষ্যতে পৃথিবীর কাছাকাছি যেকোনো মহাকাশকেন্দ্রিক কর্মকাণ্ড বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে ছেড়ে দেয়া হবে।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন আসলে পাঁচটি মহাকাশ সংস্থার মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। ১৯৯৮ সালে এটিকে মহাকাশের কক্ষপথে স্থাপন করা হয়। ২০০০ সালের পর থেকে সেখানে ক্রুরা থাকা শুরু করেন। এ পর্যন্ত মহাকাশ স্টেশনটির মাইক্রো গ্র্যাভিটির ল্যাবরেটরিতে ৩ হাজারের বেশি গবেষণা হয়ে গেছে।

যদিও ২০২৪ সাল পর্যন্ত স্টেশনটি পরিচালনা করার অনুমোদন আছে। এর ব্যবহারের সময়সীমা বাড়াতে হলে অবশ্যই পাঁচটি সংস্থারই অনুমোদন লাগবে।

নাসার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইএসএস অবসরের পর লো-আর্থ অরিবিট বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হবে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর নেতৃত্বে লো-আর্থ অরবিটে বাণিজ্যিক অর্থনীতির নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে চায়।

বেসরকারি খাত প্রযুক্তিগতভাবে ও আর্থিকভাবে বাণিজ্যিকভাবে লো-আর্থ অরবিটে কার্যক্রম পরিচালনা করতে আরও বেশি সক্ষম।

বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ প্রকল্পগুলোতে অংশগ্রহণ করছে। স্পেসএক্সের মতো বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার নভোচারীদের ও প্রয়োজনীয় কার্গো আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠিয়ে থাকে। নাসার তথ্য মোতাবেক, স্পেসএক্সের সঙ্গে কাজ করার ফলে নাসার প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা (১.৩ বিলিয়ন ডলার) টাকা সাশ্রয় হয়েছে।

এ ছাড়া নাসার চাঁদে যাওয়ার প্রকল্প ‘প্রজেক্ট আর্টিমেস’-এও একসঙ্গে কাজ করছে নাসা ও স্পেসএক্স।

এ বিভাগের আরো খবর