বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফেব্রুয়ারিতেই ইউক্রেনে রুশ হামলা, শঙ্কা বাইডেনের

  •    
  • ২৮ জানুয়ারি, ২০২২ ০৮:৩৯

গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে রাশিয়ার গৃহীত পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এখন অপেক্ষা আর দেখার সময় নয়। নিরাপত্তা কাউন্সিলের সব সদস্য দেশের মনোযোগ জরুরি।’

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে চলমান গৃহযুদ্ধে অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়া। ঠিক এমন সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ফেব্রুয়ারিতেই রাশিয়া একসময়ের সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশ ইউক্রেনে আক্রমণ করতে পারে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র এমিলি হর্ন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, একেবারে স্পষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে যে রাশিয়া ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে। তিনি প্রকাশ্যেই বলেছেন আমরা কয়েক মাস ধরে এই বিষয়ে সতর্ক করে আসছি।’

ইতিমধ্যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার অনুরোধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন নিরাপত্তা কাউন্সিলে রাশিয়ার ‘আগ্রাসী আচরণ’ নিয়ে আলোচনা করতে চায়।

গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে রাশিয়ার গৃহীত পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এখন অপেক্ষা আর দেখার সময় নয়। নিরাপত্তা কাউন্সিলের সব সদস্য দেশের মনোযোগ জরুরি।’

তবে রাশিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, আলোচনা এখনও সম্ভব। কিন্তু জো বাইডেনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ইউক্রেন আক্রমণে প্রলুব্ধ করতে পারে।

এর আগে রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করায় ন্যাটোর সঙ্গে দেশটির উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ন্যাটো আশঙ্কা করছে যেকোনো সময় রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করতে পারে। এতদিন রাশিয়া আক্রমণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেও সম্প্রতি রাশিয়াও কিছুটা সুর বদলেছে।

পার্স্টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, তার দেশ নিজের নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর।

রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার যে হুমকি দিয়েছে সে সম্পর্কে ল্যাভরভ আরও বলেছেন, মস্কো যেকোনো পরিস্থিতির জন্য নিজেকে প্রস্তুত রেখেছে।

এদিকে ন্যাটোর কোনো সদস্য দেশ ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন না করলেও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ব্যাপক প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম পাঠিয়েছে।

এ ছাড়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে শক্তি বৃদ্ধি করছে ন্যাটোও। পূর্ব ইউরোপে বাড়তি যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে তারা। ইউরোপের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বাড়তি সেনাও মোতায়েন করা হয়েছে।

ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টোলেনবার্গ সোমবার বলেছেন, ন্যাটো সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। এমনকি ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিমেও যুদ্ধসেনা মোতায়েন করার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপত্যকা দখলে নেয় রাশিয়া। শুরু হয় ইউক্রেন সেনাবাহিনীর সঙ্গে মস্কো মদতপুষ্ট বিদ্রোহীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এতে কমপক্ষে ১৪ হাজার মানুষ নিহত হন। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান অন্তত ২০ লাখ নাগরিক।

এ বিভাগের আরো খবর