মাত্র ১ লাখ জনসংখ্যার প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গা এখন যেন এক ধ্বংসস্তূপ। পর্যটকদের আনাগোনা থাকা দ্বীপটিকে গ্রাস করেছে অনিশ্চয়তা। হুঙ্গা-টোঙ্গা-হা’আপাই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ছাইয়ে ও সুনামিতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দেশটি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবারে হয়ে যাওয়া অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামির পর এই প্রথম দেশটির সরকার এক বিবৃতিতে কমপক্ষে তিনজন মানুষের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
নিহত তিনজনের মধ্যে একজন ব্রিটিশ নাগরিক রয়েছেন।
টোঙ্গার সরকার আরও জানিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরের এই দ্বীপদেশটি এক নজীরবিহীন দুর্যোগ মোকাবিলা করছে। ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতে সৃষ্ট ছাই টোঙ্গার দ্বীপগুলোকে পাতলা আবরণে ঢেকে দিয়েছে। যেখানে প্রায় এক লাখ মানুষের বসবাস।
এ ছাড়া প্রায় ৪৯ ফুট উঁচু ঢেউয়ের সুনামি আঘাত হেনেছে পশ্চিম টোঙ্গার উপকূলীয় দ্বীপ টোঙ্গাটাপু, ইউয়া ও হা’আপাইয়ে।
টোঙ্গার নৌবাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া বেশি ক্ষতি হওয়া দ্বীপগুলো থেকে মানুষকে সরিয়ে আনার কাজও করছে।
নিউজিল্যান্ডের নৌবাহিনীও দেশটিকে সহায়তার জন্য দুটি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে।
এর আগে শনিবার প্রশান্ত মহাসাগরের নিচে হুঙ্গা-টোঙ্গা-হু্ঙ্গা হা’আপাই আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। ৮ মিনিট চলে অগ্ন্যুৎপাত। শকওয়েভ ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে। সুনামি আঘাত হানে টোঙ্গায়। ফলে দেশটিতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এ ছাড়া সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল ফিজি, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র উপকূলীয় অঞ্চল থেকে দেশটির নাগরিকদের সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল।
এ ছাড়া অগ্ন্যুৎপাতের ফলে জাপানের শিকোকু দ্বীপের দক্ষিণ উপকূলের কোচি প্রশাসনিক অঞ্চলেও মৃদু সুনামি আঘাত হানে। এতে কিছু নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।