বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাড় মুড়মুড় কমাতে ১২ বার করোনার টিকা

  •    
  • ৯ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:৪৯

ভারতে চলছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তা মোকাবিলায় গণটিকা কর্মসূচি চালাচ্ছে দেশটির সরকার। এমন পরিস্থিতিতে বিহারের এক বৃদ্ধ দাবি করছেন, এ পর্যন্ত দুটি পরিচয়পত্র দেখিয়ে ১২ ডোজ টিকা নিয়েছেন তিনি। তার দাবি, করোনার টিকা নিলে উপশম হয় হাড়ের ব্যথা।

করোনা টিকায় সারে হাড়ের ব্যথা- এমন বিশ্বাস থেকে ১২ বার টিকা নেয়ার দাবি করেছেন ভারতের ডাক বিভাগের সাবেক এক কর্মী। এর মধ্যে আধার কার্ডে ৯ বার এবং তিনবার টিকা নিয়েছেন ভোটার কার্ড দেখিয়ে। ঘটনাটির তদন্তে নেমেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যারের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিহারের রাজধানী পাটনা থেকে ২৪০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে মাধেপুর জেলার বাসিন্দা ব্রহ্মদেব মণ্ডল। ৮৪ বছরের এই ব্যক্তি দীর্ঘদিন অস্থিসন্ধির ব্যথায় ভুগছেন।

ব্রহ্মদেব বলেন, ‘চিকিৎসকরা জানান ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে এই ব্যথা। তারা ওষুধ দিলেও কাজ হয়নি।

‘এরপর গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আমি করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিই। পরের মাসে দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার আগে মনে হচ্ছিল ব্যথা অনেকটাই কমে গেছে। শরীর ঠিক রাখতে তখন আরও টিকা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিই। এরপর যতবার সুযোগ পেয়েছি, টিকা নিয়েছি।’

ব্রহ্মদেব বলেন, ‘তথ্য সংগ্রহকারীরা যখন জানতে চাইতেন, আগে টিকা নিয়েছি কি না- আমি না বলতাম এবং টিকা নিয়ে নিতাম।’

আধার কার্ডে ৯ টিকা, তিনটি ভোটার কার্ডে

ব্রহ্মদেবের দাবি, তার নেয়া ১২ টিকার ৯টি নিয়েছেন আধার কার্ড দিয়ে, বাকি তিনটি ভোটার আইডি কার্ড দেখিয়ে।

তবে আধার কিংবা ভোটার কার্ডে টিকা নেয়ার তথ্য অনলাইনে সংরক্ষণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে ভুলের সুযোগ খুবই কম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দ্য ওয়্যারকে বলেন, ‘তিনি দুটি পরিচয়পত্র ব্যবহার করে থাকলে চার ডোজ টিকা পাওয়ার কথা। অথচ দুই কার্ডে ১২ ডোজ পাওয়া মানে, তথ্য ঠিকমতো পোর্টালে সংরক্ষণ হচ্ছে না বা তিনি নকল টিকা নিয়েছেন।’

ব্রহ্মদেব বলেন, ‘গত বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে টিকা নেয়ার সময় আমার আইডি কার্ডের তথ্য কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা হয়নি। একটি রেজিস্ট্রার খাতায় লিখে রাখা হতো।’

এ পর্যন্ত টিকা নেয়ার পাঁচটি সনদ পেয়েছেন ব্রহ্মদেব। সেখানে নাম-ঠিকানা একই। পার্থক্য কেবল টিকা নেয়ার তারিখে।

তদন্ত শুরু

বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে বিহারের স্বাস্থ্য বিভাগ। মাধেপুরার সিভিল সার্জন অমরেন্দ্র নারায়ণ সাহি বলেন, ‘আমরা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। টিকা নেয়া ব্যক্তিদের তথ্য কোথায় সংরক্ষণ হচ্ছে, তা দেখাতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বিহারে টিকা নিয়ে জটিলতা শুরু থেকেই। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, টিকা না নিয়েই তারা টিকা নেয়ার মেসেজ পেয়েছেন। অনেকে বলছেন, মেসেজে উল্লেখ করা কোম্পানির টিকা তারা পাননি।

বিহারে টিকাদান পরিস্থিতি নিয়ে গত বছর একটি অনুসন্ধান চালায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। এতে রাজ্যের ছয়টি কেন্দ্রে চরম অনিয়মের চিত্র উঠে আসে।

করোনার টিকায় শরীরের ব্যথা কি দূর হয়

ভারতের মহামারি বিশেষজ্ঞ এবং সাবেক স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিদ অ্যান্থনি কোল্লানোর বলেন, ‘করোনার টিকায় স্বাস্থ্যের অন্য কোনো উপকার হয় কি না, তা নিশ্চিত নয়। বিজ্ঞানীরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কীভাবে টিকাকে আরও কার্যকর করা যায়। তাই ওই ব্যক্তির দাবি সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক।’

এ বিভাগের আরো খবর