বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতে এক দিনে ৮ লাখ করোনা শনাক্তের আশঙ্কা

  •    
  • ৯ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:৪২

চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে (আইআইটি) অধ্যাপক ও গণিতবিদ মণীন্দ্র আগরওয়াল বলেছেন, ‘সারা দেশে চলমান করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ শিগগিরই চরমে পৌঁছতে যাচ্ছে। জানুয়ারির মাঝামাঝি, যখন এই ঢেউ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে, তখন এক দিনে ৮ লাখ পর্যন্ত নতুন করোনা কেস আসতে পারে।’

ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে এক দিনে ৮ লাখ পর্যন্ত নতুন রোগী শনাক্ত হতে পারে। এমন সতর্কবার্তাই দিয়েছেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (আইআইটি) অধ্যাপক ও গণিতবিদ মণীন্দ্র আগরওয়াল।

দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, ‘সারা দেশে চলমান করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ শিগগিরই চরমে পৌঁছতে যাচ্ছে। জানুয়ারির মাঝামাঝি, যখন এই ঢেউ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে, তখন এক দিনে ৮ লাখ পর্যন্ত নতুন করোনা কেস আসতে পারে। এই সংখ্যা করোনার আগের ঢেউয়ের চেয়ে দ্বিগুণ হবে। দেশজুড়ে করোনার শনাক্ত খুব দ্রুত বাড়বে। শীর্ষে আসবে মুম্বাই ও দিল্লি।’

মণীন্দ্র আগরওয়াল আরও বলেন, ‘করোনার তৃতীয় ঢেউ সম্পর্কে আমরা যে অভিক্ষেপ করেছি, তা বর্তমান গণনার ওপর ভিত্তি করে। তবে এর মধ্যে সমগ্র দেশের ডাটা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

‘দেশজুড়ে তৃতীয় তরঙ্গের শীর্ষস্থান আগামী মাসে বা তার একটু আগে আসতে পারে। এখন পর্যন্ত আমাদের পূর্বাভাস প্রতিদিন ৪ থেকে ৮ লাখ নতুন কেস আসবে। দেশজুড়ে সংক্রমণ এখন গতি পাচ্ছে, তা নামতে অন্তত এক মাস সময় লাগবে। অর্থাৎ মার্চের মাঝামাঝি এর গতি ব্রেক করা হবে।’

মণীন্দ্র আগরওয়ালকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের আইডিয়া এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, নির্বাচনের কারণে ভারতে করোনার সংক্রমণ গতি পেয়েছে কি না।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি সমাবেশের কারণে করোনার ঘটনা যে বাড়ছে না তা নয়। নির্বাচনি জনসভার মাধ্যমে নিশ্চয়ই এটা হচ্ছে। তবে অন্য কারণগুলোরও একটি দীর্ঘ তালিকা রয়েছে। নির্বাচনি সমাবেশগুলো এই কারণগুলোর মধ্যে একটি। আমরা যে সতর্কবার্তা দিয়েছি, নির্বাচনকে সরিয়ে রাখলেও পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না।’

নির্বাচন নিয়ে মণীন্দ্র আগরওয়াল তার বিশ্লেষণে যেসব তথ্য দিয়েছেন তা গত বছর ১৬টি রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির সমীক্ষার ভিত্তিতে করা হয়েছে। এই ১৬ রাজ্যের মধ্যে পাঁচটি রাজ্যও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেখানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ঠিক আগে নির্বাচন হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘আমরা পাঁচটি রাজ্যের তথ্য নিয়েছি, যেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং ১১টি রাজ্যের সঙ্গে তুলনা করেছি, যেখানে নির্বাচন হয়নি। এটি করার পরে আমরা জানতে পেরেছি, উভয় জায়গায় পরিস্থিতির খুব বেশি পার্থক্য নেই।’

বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে এই অধ্যাপক বলেন, ‘প্রজেকশন করা খুব কঠিন হয়ে যায়, যখন প্যারামিটারগুলো খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়, তবে হ্যাঁ, একটি জিনিস আমি বলতে পারি যে মুম্বাইতে তৃতীয় ঢেউয়ের চূড়ান্ত অবস্থা জানুয়ারিতে আসবে। এটা খুব বেশি দূরে নয়। একই অবস্থা দিল্লিতেও। কলকাতা নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি রয়েছে, তবে এখানেও তৃতীয় ঢেউয়ের সর্বোচ্চ সীমা একই সময়ে আসা উচিত।’

এ বিভাগের আরো খবর