বড়দিনকে কেন্দ্র করে ইউরোপে মাসব্যাপী উৎসবের ছোঁয়া লেগেই থাকে। এবার করোনায় যেন সেই উৎসবমুখর পরিবেশ ম্লান হয়ে গেছে।
পুরো ইউরোপে করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন বলছে, এরইমধ্যে মহাদেশটির কয়েকটি দেশে দৈনিক হিসেবে রেকর্ড করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৮০৭ জন। বিশ্বব্যাপী মহামারি শুরু হওয়ার পর দেশটিতে এখন পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ শনাক্তের ঘটনা। এর আগে দেশটির সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল ১ লাখ ৪ হাজার ৬১১ জন।
যুক্তরাজ্যে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৪২১ জনের। এর আগে দৈনিক সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ডটি ছিল ডিসেম্বরের ২৪ তারিখে। সেদিন করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয় ১ লাখ ২২ হাজার ১৮৬ জনের।
বিশ্বে সর্বাধিক মাত্রায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেয়া দেশগুলোর একটি পর্তুগাল। সেখানেও সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ঠিক এমন অবস্থাই হয়েছে সাইপ্রাস, ইতালি ও গ্রিসেও।
পুরো ইউরোপে করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায়, জার্মানি নতুন করে করোনা বিধিনিষেধ জারি করেছে। বড়দিনের পর সামাজিক অনুষ্ঠান উদযাপনেও সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে দেশটি।
২৮ তারিখের পর যেকোন সামাজিক অনুষ্ঠানে ১০ জনের বেশি মানুষ জড়ো হতে পারবে না। ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে।
পর্তুগাল ২৬ ডিসেম্বর থেকে নতুন বছরের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটির সকল নাইট ক্লাব ও বার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দেশটিতে নতুন করে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করবেন না বলে জানিয়েছেন। তবে স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং নর্দান আয়ারল্যান্ড সামাজিক মেলামেশার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সুইডেনে ক্যাফে ও বারে লোক সমাগম কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পেশাজীবীদের বাসায় থেকে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকাতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হয়। এখন ওমিক্রন পুরো বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে ওমিক্রন ইস্যুতে ইউরোপের হাসপাতালগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। সংস্থাটির সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে জানানো হয়েছে, ওমিক্রনের নতুন ঢেউ হাসপাতালগুলোকে চরম বিপর্যয়ের মুখে ফেলবে।