বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সর্দি-গলাব্যথা রোগীর ‘অর্ধেকই’ করোনা আক্রান্ত

  •    
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ২১:০৫

প্রতিদিন গড়ে যুক্তরাজ্যে ১ লাখ ৪৪ হাজারের মতো মানুষ সর্দি-গলাব্যথায় ভুগছে। এর পর অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। অনেকের জন্যই এগুলো খুব সাধারণ রোগ। কারও কারও কোনো উপসর্গই নেই।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ হিসেবে এখনও পর্যন্ত গলাব্যথা, সর্দি এবং মাথাব্যথার মতো উপসর্গকে প্রধান উপসর্গ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে এসব হলেই কি কেউ করোনায় আক্রান্ত? সবাই না হলেও; এমন উপসর্গ থাকাদের অর্ধেকই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের অর্থায়নে করোনার সংক্রমণ নিয়ে গবেষণা করা ‘জো কোভিড স্টাডি’ অ্যাপ সম্প্রতি এমন তথ্য পেয়েছে বলে বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

গবেষণায় পাওয়া তথ্যে বলা হয়েছে, গলাব্যথা, সর্দি এবং মাথাব্যথার মতো উপসর্গ আছে; এমন রোগীর অর্ধেকই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত সপ্তাহে করোনার পরিস্থিতির এমন ‘বিস্ফোরণ’ ঘটেছে। ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন এই আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিদিন গড়ে যুক্তরাজ্যে ১ লাখ ৪৪ হাজারের মতো মানুষ সর্দি-গলাব্যথায় ভুগছে। এর পর অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। অনেকের জন্যই এগুলো খুব সাধারণ রোগ। কারও কারও কোনো উপসর্গই নেই।

তবে এমন পরিস্থিতেও কেউ ভয়াবহ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। বিশেষ করে যারা করোনার টিকা নেননি; তাদের মধ্যে এই আশঙ্কা বেশি।

কারও মধ্যে যদি এমন উপসর্গ দেখা দিয়ে থাকে তবে তার করোনা পরীক্ষা করানো উচিত বলে জানিয়েছেন গবেষণায় নেতৃত্বদানকরী অধ্যাপক টিম স্পেক্টর।

তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে এমন উপসর্গের রোগী বেড়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওমিক্রনে আক্রান্তরা প্রথমে সাধারণ ঠান্ডা, গলাব্যথা কিংবা মাথাব্যথায় ভোগেন। আক্রান্ত হয়েছেন, এমন কাউকে জিজ্ঞেস করলেই এমন তথ্য পাওয়া যাবে।

জীবন বাঁচানোর জন্য এই তথ্যগুলো মানুষকে জরুরি ভিত্তিতে জানানো দরকার বলেও মন্তব্য এই গবেষকের।

সর্বশেষ বুধবার যুক্তরাজ্যজুড়ে ১ লাখ ৬ হাজার ১২২ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। দেশটিতে এক দিনে এটিই সর্বোচ্চ আক্রান্ত শনাক্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতিতে নতুন করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ব্যাপারটি উদ্বেগজনক।

ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার প্রথম দিকে বলা হচ্ছিল; অন্য ধরনের চেয়ে করোনার এই ধরন অপেক্ষাকৃত কম প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। তবে এখন এর বিপরীত তথ্য আসছে। অনেক মানুষকেই হাসপাতালে ভর্তি করার দরকার হতে পারে বলে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনার অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এরপর তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। একের পর এক করোনার নতুন ধরনে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এমন পরিস্থিতিতেই ওমিক্রন নতুন করে ভাবাচ্ছে বিশ্বকে।

এ বিভাগের আরো খবর