করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্তদের চিকিৎসায় কাজে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজারের তৈরি মুখে খাওয়ার বড়ি।
সাম্প্রতিক গবেষণার বরাত দিয়ে ফাইজার এমন দাবি করেছে বলে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্যাক্সলভিড নামের এই ওষুধটি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ দেখা দিলে খাওয়ানো যাবে। ১২০০ মানুষের ওপর চালানো এক জরিপে ফাইজারের বড়ির কার্যকারিতা নিয়ে বেশ ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে।
ফাইজারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, চূড়ান্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অধিক ঝুঁকিতে থাকা প্রাপ্তবয়স্কদের করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুঝুঁকি ৯০ শতাংশ কমাবে এই বড়ি। এ ছাড়া প্যাক্সলভিড অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ওমিক্রনের ক্ষেত্রেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
এর আগে গত নভেম্বরে কোম্পানিটি জানিয়েছিল, করোনায় তাদের বড়ি ৮৯ শতাংশ কার্যকর।
গবেষণার চূড়ান্ত তথ্য প্রকাশ করে ফাইজার বলছে, ট্রায়ালে অংশ নেয়া রোগীদের মধ্যে যারা প্যাক্সলভিড বড়ি খেয়েছেন তাদের কেউই মারা যাননি; অন্যদিকে প্লেসবো (ওষুধ বলে দেয়া হয়, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা ওষুধ নয়) দেয়া রোগীদের ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ফাইজারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মিকেল ডলস্টেন সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘চমৎকার ফলাফল এসেছে। সাম্প্রতিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই বড়ি ওমিক্রনের চিকিৎসায় মূলত ’সার্স-কোভিড-২’ ধরনের চিকিৎসার মতোই ফল দেয়।’
ফাইজার জানিয়েছে, নতুন এই ওষুধটি করোনাভাইরাসের বংশ বৃদ্ধিতে সহায়ক এনজাইমকে অকার্যকর করে দেয়। ওষুধটির তিন ডোজ দিনে দুইবার করে পাঁচ দিন খেতে হবে।
করোনা চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত প্রতিরোধী টিকা নেয়াকে সবচেয়ে ভালো উপায় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে আক্রান্ত হওয়ার পরেও ঘরোয়া চিকিৎসার জন্য ওষুধের চাহিদাও বাড়ছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান জিলিড করোনার চিকিৎসায় অ্যান্টিভাইরাল রেমডাসিভির ইনজেকশন এবং স্টেরয়েড ডেক্সামেথাজোন বাজারে এনেছে। তবে এসব ওষুধ শুধু হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের দেয়া হয়।