বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঝটিকা সফরে দিল্লিতে পুতিন

  •    
  • ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৪:০৯

ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরে পুতিন বলেন, ‘আমরা ভারতকে একটি মহান শক্তি ও এক বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে দেখি। সময়ে সময়ে ভারত তার বন্ধুত্বের প্রমাণ দিয়েছে। আমাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বাড়ছে এবং আমি ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছি।’

ভারত-চীন সম্পর্কে টানাপোড়েনের মাঝে ঝটিকা সফরে দিল্লি এসেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় ভারতে পৌঁছান পুতিন। দিল্লিতে পা রেখেই সোজা হায়দরাবাদ হাউসে চলে যান তিনি। সেখানে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। একাধিক দ্বিপক্ষীয় ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয় দুই নেতার।

প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সত্যিই আন্তরাষ্ট্রীয় বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে এক অনন্য এবং নির্ভরযোগ্য মডেল।’

পুতিন দিল্লি পৌঁছানোর আগেই ভারতের রাজধানীতে পৌঁছে গিয়েছিলেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোয়গু। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বসে সের্গেই ৫ হাজার কোটি টাকার একটি সামরিক চুক্তিও করেন তিনি।

দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সময় পুতিনকে মোদি বলেন, ‘কোভিডের কারণে যে প্রতিকূলতা তৈরি হয়েছে, তারপরও ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের বিকাশের গতিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমাদের বিশেষ এবং দ্বিপক্ষীয় কৌশলগত অংশীদারত্ব আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।’

মোদি বলেন, গত কয়েক দশকে বিশ্ব অনেক মৌলিক পরিবর্তনের সাক্ষী থেকেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে, কিন্তু ভারত ও রাশিয়ার বন্ধুত্ব একই রকম রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে উদ্যোগী রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও।

ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরে পুতিন বলেন, ‘আমরা ভারতকে একটি মহান শক্তি ও এক বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে দেখি। সময়ে সময়ে ভারত তার বন্ধুত্বের প্রমাণ দিয়েছে। আমাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বাড়ছে এবং আমি ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছি।’

নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘বর্তমানে, দুই দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ প্রায় ৩৮ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়ার দিক থেকে কিছুটা বেশি বিনিয়োগ আসছে। সামরিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে আমরা ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার চুক্তিতে আবদ্ধ। আমরা ভারতে উৎপাদনের পাশাপাশি উচ্চ প্রযুক্তি তৈরি করি।’

সন্ত্রাসবাদ ও আফগান ইস্যু নিয়েও দুই দেশের রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে আলোচনা হয়। পুতিন বলেন, ‘স্বভাবতই, আমরা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত সবকিছু নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই, মাদক পাচার এবং সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধেও লড়াইসহ সব কিছু নিয়েই আমরা উদ্বিগ্ন। সেদিক দিয়ে আমরা আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়েও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।’

খুব দ্রুতই ভারতীয় সেনার হাতে আসবে অত্যাধুনিক ক্ষমতাসম্পন্ন একে-২০৩ রাইফেল। সোমবার সকালে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে প্রথমবারের টু প্লাস টু বৈঠকে এ বিষয়ে চুক্তি সই হয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোয়গুর এই সাক্ষাতে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

৫০০০ কোটি টাকার এই চুক্তিতে মোটামুটি ৬ লাখ একে-২০৩ রাইফেল তৈরি হবে উত্তর প্রদেশের আমেথিতে। একই সঙ্গে এদিনের বৈঠকে আগামী ১০ বছরের জন্য অর্থাৎ ২০২১ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত ভারত ও রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সামরিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক চুক্তিপত্রেও সই করেন।

রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোয়গুর সঙ্গে বৈঠকে রাজনাথ সিং বলেন, ‘ভারত মহামারি, প্রতিবেশী অঞ্চলে অসাধারণ সামরিকীকরণ এবং অস্ত্র সম্প্রসারণ, ২০২০ সালের গ্রীষ্ম থেকে আমাদের উত্তর সীমান্তে কোনো উসকানি ছাড়াই আগ্রাসনের মতো অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।’

বৈঠকের পরই রাজনাথ সিং টুইটারে লেখেন, ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ এক বৈঠক হলো।’

একে-২০৩ রাইফেল ৭.৬২ X ৩৯ এমএম ক্যালিবারের সেই রাইফেল, যা পুরোনো রাইফেলের তুলনায় অনেক বেশি আধুনিক। এই রাইফেলের রেঞ্জ মোটামুটি ৩০০ মিটার। ওজনে খুবই হালকা অথচ অত্যন্ত মজবুত।

এ বিভাগের আরো খবর