করোনার সবচেয়ে মারাত্মক ধরন ‘ওমিক্রন’ নিয়ে বিশ্বজুড়ে নতুন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এমনই সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই নাগরিকের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর আতঙ্ক ছড়িয়েছে ভারতের তথ্য-প্রযুক্তি শহর বেঙ্গালুরুতে।
শনিবার বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুই আফ্রিকানের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার পর প্রশাসনিক স্তরেও উদ্বেগ দেখা দেয়। তাদের শরীরে ‘ওমিক্রন’ মিলেছে কিনা তা নিয়ে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
বলা হচ্ছে, করোনা ভাইরাসের এ পর্যন্ত যে ক’টি ধরনের খোঁজ মিলেছে তার মধ্যে ওমিক্রন সবচেয়ে দ্রুত ছড়ায়। সেই ধরনেই আফ্রিকার এই নাগরিক আক্রান্ত কীনা তা নিয়েই চাঞ্চল্য বেঙ্গালুরুতে।
বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দরে অবতরণ করা সংশ্লিষ্ট বিমানে মোট ৫৮৪ জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই দশটি ‘হাই-রিস্ক’ দেশ থেকে এসেছেন। তাদের মধ্যে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই বেঙ্গালুরুতে পা রেখেছেন ৯৪ জন। ওই ১০ দেশেই করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয়েছে।
কর্নাটক সরকার কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে বেশ কয়েকটি কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাইয়ের সভাপতিত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে সরকার বিমানবন্দরগুলোতে আন্তর্জাতিক যাত্রীদের স্ক্রিনিং জোরদার করবে এবং কেরালা ও মহারাষ্ট্র থেকে আগতদের জন্য আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করবে।
সরকারি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা ও হংকং থেকে আগতদের বাধ্যতামূলকভাবে কোভিড পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এই দেশগুলো থেকে গত ১৫ দিনে যারা রাজ্যে প্রবেশ করেছে তাদের আবারও আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে।