বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুক্তরাষ্ট্রে জব্দ ৯৫০ কোটি ডলার ফেরত চায় তালেবান

  •    
  • ১৮ নভেম্বর, ২০২১ ১৩:২৫

আফগানিস্তানে চলমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা পশ্চিমা বিশ্বেও সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তালেবানশাসিত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকী। তিনি বলেন, ‘চলমান অর্থনৈতিক অরাজকতার কারণে আফগানিস্তান থেকে বহির্বিশ্বে শরণার্থীর ঢল নামতে পারে।’

যুক্তরাষ্ট্রে গচ্ছিত আফগানিস্তানের বিপুল অঙ্কের অর্থ আবারও ফেরত চেয়েছে শাসকদল তালেবান। জব্দকৃত অর্থ ছাড় দিতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।

টার্কিশ রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশনের (টিআরটি) প্রতিবেদনে বলা হয়, তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গচ্ছিত প্রায় ৯৫০ কোটি ডলার জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে অর্থনৈতিক সংকট আরও তীব্র হয়েছে বিদেশি সহযোগিতানির্ভর আফগানিস্তানে।

এমন পরিস্থিতিতে বুধবার এক খোলা চিঠিতে তালেবানশাসিত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকী বলেন, ‘আফগানিস্তান এখন সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটির মুখে দাঁড়িয়ে, তা হলো আর্থিক অনিরাপত্তা। এর মূল কারণই হলো আফগান জনতার কষ্টার্জিত অর্থ আটকে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার।’

আফগানিস্তানে চলমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা পশ্চিমা বিশ্বেও সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছেন মুত্তাকী। তিনি বলেন, ‘চলমান অর্থনৈতিক অরাজকতার কারণে আফগানিস্তান থেকে বহির্বিশ্বে শরণার্থীর ঢল নামতে পারে।’

মুত্তাকী আরও বলেন, ‘২০২১ সালে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্বে স্বীকৃতি দিয়েছে ওয়াশিংটন। বিশ্বের অন্য অনেক দেশের মতোই আমাদের সম্পর্কও বিভিন্ন সময়ে উন্নতি-অবনতির মধ্য দিয়ে গেছে।

‘উন্নত শাসনব্যবস্থা, নিরাপত্তা আর স্বচ্ছতা নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ায় মনোযোগী হয়েছে আফগান সরকার।

‘আফগানিস্তানের কারণে কোনো অঞ্চল বা বিশ্ব কোনো ধরনের ঝুঁকিতে পড়বে না। ইতিবাচক ও সহযোগিতামূলক সম্পর্কের পথ উন্মুক্ত করেছি আমরা।’

মুত্তাকী বলেন, ‘এখনকার যে পরিস্থিতি, সেটাই বহাল থাকলে আফগান সরকার ও জনতার বিপদ বাড়বে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে শরণার্থী সংকটের মূল কারণ হয়ে উঠতে পারে আফগানিস্তান। আরও মানবিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় তৈরি হলে সে জন্য বিশ্বসম্প্রদায়ই দায়ী হবে।’

আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি দিন দিন নষ্ট হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে মাতৃভূমির সবচেয়ে করুণ হাল আফগান জনতার স্মৃতিতে আরও দৃঢ় হবে।

‘আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে ভাববে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।’

অর্থনৈতিক সংকটের কারণে আফগানিস্তানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কয়েক মাস ধরে বেতন বন্ধ রয়েছে। বিদেশি সহায়তানির্ভর দেশটিতে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিও বন্ধ আছে নগদ অর্থের সংকটের কারণে।

এ বিভাগের আরো খবর