বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আফগানিস্তানে শরিয়াহ আইনই রাখছে তালেবান

  •    
  • ১১ নভেম্বর, ২০২১ ০৮:৫২

শরিয়াহ আইন কার্যকরের অংশ হিসেবে ইসলামিক বিধানের ব্যাখ্যা নির্ধারণের ক্ষমতা পেয়েছে সামরিক ট্রাইব্যুনাল। ইসলাম ধর্মে বর্ণিত জীবনবিধান অনুযায়ী নাগরিক আইন ও ক্ষেত্রবিশেষে আইনশাস্ত্র সম্পর্কিত ডিক্রি জারি করতে পারবে ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে অভিযোগ দাখিল, মামলা দায়ের এবং তালেবান সরকারের কর্মকর্তা ও পুলিশ, সেনাবাহিনী আর গোয়েন্দা ইউনিটের সদস্যদের বিরুদ্ধে পিটিশন জমা দেয়ারও এখতিয়ার থাকবে ট্রাইব্যুনালের।

আফগানিস্তানে শরিয়াহ আইন বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে শাসকদল তালেবান। এ লক্ষ্যে একটি সামরিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন তালেবান সরকার।

টার্কিশ রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশনের (টিআরটি) প্রতিবেদনে বলা হয়, কট্টর ইসলামপন্থি গোষ্ঠীটির সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদার নির্দেশে গঠিত হয়েছে সামরিক ট্রাইব্যুনালটি।

তালেবান সরকারের উপমুখপাত্র এনামুল্লাহ সামানগনি বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘শরিয়াহ মোতাবেক জীবনব্যবস্থা, আল্লাহ প্রদত্ত নির্দেশ ও সমাজ সংস্কার’ নিশ্চিতে কাজ করবে সামরিক ট্রাইব্যুনাল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ট্রাইব্যুনালটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ওবায়দুল্লাহ নিজামি। তার উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সৈয়দ আঘাজ ও জাহেদ আখুনজাদেহকে।

সামানগনি জানিয়েছেন, ইসলামিক বিধানের ব্যাখ্যা নির্ধারণের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে সামরিক ট্রাইব্যুনালকে। ইসলাম ধর্মে বর্ণিত জীবনবিধান অনুযায়ী নাগরিক আইন ও ক্ষেত্রবিশেষে আইনশাস্ত্র সম্পর্কিত ডিক্রি জারি করতে পারবে ট্রাইব্যুনাল।

একই সঙ্গে অভিযোগ দাখিল, মামলা দায়ের এবং তালেবান সরকারের কর্মকর্তা ও পুলিশ, সেনাবাহিনী আর গোয়েন্দা ইউনিটের সদস্যদের বিরুদ্ধে পিটিশন জমা দেয়ারও এখতিয়ার থাকবে ট্রাইব্যুনালের।

চলতি বছরের আগস্টে আফগানিস্তানের পশ্চিমা সমর্থিত বেসামরিক সরকারের পতন ঘটে এবং দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এরপর থেকেই দেশটির আইন ব্যবস্থা অচলপ্রায়। আপাতত তালেবান যোদ্ধারাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে বলে জানা গেছে।

তালেবানশাসিত আফগান সরকারের গোয়েন্দা বিভাগের বরাত দিয়ে আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত তিন মাসে আফগানিস্তানে অপরাধের হার কমেছে। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে তালেবান প্রশাসন ৮২ জন অপহরণকারী আর অর্ধশতাধিক চোরকে গ্রেপ্তার করেছে।

এর আগে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ওলেসি জিরগার সাবেক সদস্য আল্লাহ গুল মুজাহিদকে ‘গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের’ অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হাসান আখুন্দ।

তালেবান সদস্যদের মুজাহিদকে পেটানো ও অসম্মান করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে দেয়া হয় এ নির্দেশ।

এ বিভাগের আরো খবর