সিংহের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার খবর বেশ পুরোনো। এবার কুকুর ও বিড়ালের মধ্যে ভাইরাসটির অস্তিত্ব পাওয়ার খবর জানিয়েছেন গবেষকরা।
নতুন একটি ভেটেরিনারি গবেষণায় বলা হচ্ছে, গৃহে পালিত পশু কুকুর ও বিড়ালের মধ্যে করোনার আলফা ভ্যারিয়েন্ট সার্স-কভ-২ পাওয়া গেছে। এটি প্রথম শনাক্ত হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডে, যেটি আগে ইউকে ভ্যারিয়েন্ট বা বি.১.১.৭ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
একটা সময় ইউকে ভ্যারিয়েন্ট খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, ইংল্যান্ডে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও এটি দ্রুত ছড়ায়। এ কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন দেশ ভ্যারিয়েন্টটি সম্পর্কে সতর্কাবস্থা জারি করেছিল।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, গবেষণায় সার্স-কভ-২ আলফা ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত করা গেছে গৃহপালিত প্রাণীদের মধ্যে। যার মধ্যে দুটি বিড়াল এবং একটি কুকুরের মধ্যে পিসিআর পরীক্ষায় পজিটিভ আসে। যদিও ওই প্রাণী তিনটির শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় এবং ছয় সপ্তাহ পর তারা পুরো সুস্থ হয়ে গেছে।
অবশ্য এসব প্রাণীর মালিকরা তার কয়েক সপ্তাহ আগেই প্রাণীগুলোর শ্বাসকষ্টের লক্ষণ দেখা দিলে তাদের করোনার নমুনা পরীক্ষা করান। পরে অবশ্য সেগুলোর করোনা পজিটিভ আসে।
এসব প্রাণীর হৃৎপিণ্ডে পরে বেশি পরিমাণে সংক্রমণ দেখা যায় এবং সেগুলো গুরুতর মায়োকার্ডাইটিস বা হৃৎপিণ্ডের প্রদাহজনিত সমস্যা দেখা যায়।
যুক্তরাজ্যের দ্য রালফ ভেটেরিনারি রেফারেল সেন্টারের মুখ্য বিজ্ঞানী লুকা ফেরাসিন বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় প্রথমবারের মতো কুকুর ও বিড়ালের শরীরে সার্ক-কভ-২-এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এমন প্রাণীর শরীরে করোনার উপস্থিতি অবশ্যই খুব ঝুঁকির বিষয়।’
এর আগে মানুষ আক্রান্ত হলেও এমন প্রাণীর করোনা আক্রান্তের বিষয়টি এটাই প্রথম। অবশ্য এমন আক্রান্তের বিষয়টি খুবই বিরল। প্রাণীর আচরণ ও অবস্থার ওপর নজর রাখলেও বিষয়টি আগেই বুঝে ফেলা যায় বলেও জানান লুকা।