ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরব মানবিক সংকট তৈরি করেছে, এমন অভিযোগের মধ্যেই দেশটির কাছে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে প্রথমবারের মতো এই অস্ত্র বিক্রিতে অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ।
শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পেন্টাগন জানিয়েছে, সৌদি আরবের কাছে ৬৫ কোটি ডলার দামের ২৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেছে সংস্থাটি।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা মনে করেন, ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের ভূমিকার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। ইয়েমেনের সাধারণ মানুষকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত হবে না, এমন নিশ্চয়তা ছাড়া সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রির বিরোধিতা করছেন তারা।
২৬ অক্টোবর প্রতিরক্ষা বিভাগের অনুমোদনের পর একজন মুখপাত্র বলেছেন, গত বছর সৌদি আরবের ওপর সীমান্ত পেরিয়ে হামলার ঘটনা বাড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘ইয়েমেনে সংঘাত বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারের সঙ্গে এই অনুমোদন পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের হামলা থেকে নিজেদের বাঁচানোর অধিকার রয়েছে সৌদি আরবের।’
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সৌদি আরবের শাসক গোষ্ঠীর সুসম্পর্ক ছিল। তবে ক্ষমতায় আসার পর দেশটির সঙ্গে সম্পর্কে সতর্ক অবস্থান নেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সৌদি আরবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনেক অভিযোগ থাকলেও ইরানবিরোধী জোটে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র।
রয়টার্স জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির বিষয়টি প্রতিরক্ষা বিভাগের অনুমোদন পেলেও চূড়ান্ত চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।