বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সৌদি জোটের হামলায় ১৪৫ হুতি বিদ্রোহী নিহত

  •    
  • ৪ নভেম্বর, ২০২১ ১৬:৩৯

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে হুতি বিদ্রোহীরা মারিবের দক্ষিণে আল-বাইদা প্রদেশ দখল করে এবং মারিবে সরকারনিয়ন্ত্রিত হারিব, আল-আব্দিয়া ও রাহাবাহ জেলায় হামলা শুরু করে। এরপর থেকেই অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে মরিয়া সরকারি বাহিনীও হুতিদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করে।

ইয়েমেনের মারিব প্রদেশে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের হামলায় নিহত হয়েছে কমপক্ষে ১৪৫ জন হুতি বিদ্রোহী। ২৪ ঘণ্টায় এ বিপুল প্রাণহানি হয় বলে বুধবার এক ঘোষণায় জানায় সৌদি জোট।

আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনের কেন্দ্রীয় শহর মারিবের উপকণ্ঠে বিভিন্ন এলাকায় হয় এসব হামলা। অঞ্চলটি সৌদি জোট-সমর্থিত সরকারি বাহিনী ও ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহীদের মধ্যে গত কয়েক দিন ধরেই রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে।

জোটের বিবৃতির বরাত দিয়ে সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, ৩২ বার বিমান হামলা চালিয়েছে সৌদি জোটের যুদ্ধবিমান। হামলায় হুতিদের ১৮টি সামরিক যান ধ্বংস হয়েছে।

এ অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে দরিদ্র ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে মানবিক বিপর্যয় আরও তীব্র রূপ নিতে যাচ্ছে বলে বুধবার সতর্ক করেছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার একটি জোট। ইয়েমেনে দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে কেয়ার, ড্যানিশ রিফিউজি কাউন্সিল, নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল, অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেনসহ ১৪টি সংগঠন।

শুধু গত মাসে মারিবেই ১১৯ জন বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানির তথ্য রেকর্ড করেছে এসব সংগঠন, যা এক মাসের ব্যবধানে ২৩০ শতাংশ বেশি। সৌদি জোট ও হুতি- উভয় পক্ষের আগ্রাসনেই এসব প্রাণহানি হয়েছে।

মারিব ও আশপাশের প্রদেশগুলোতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় সম্প্রতি লাখো মানুষ গৃহহীন হয়েছে অঞ্চলটিতে।

মারিবের অভ্যন্তরীণ শরণার্থীবিষয়ক কর্মকর্তা খালেদ আল-শাজানি জানান, জুবা, রাহাবাহ, জাবাল মুরাদ, আবিদিয়া, হারেব, সারওয়াসহ প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে প্রায় ৭০ হাজার শরণার্থী যুক্ত হয়েছে। অথচ আগে থেকেই খাদ্য, ওষুধ ও জায়গাসংকটে ভুগছিল শরণার্থীরা।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, মারিবের ১৩৯টি শরণার্থী শিবিরে ঠাঁই নিয়ে আছে প্রায় ২২ লাখ মানুষ। সহিংসতা তীব্র হওয়ায় তাদের বেশির ভাগই দ্বিতীয়বার আশ্রয়হীন হওয়ার মুখে।

বর্তমানে পুরো ইয়েমেনের মধ্যে বিশ্ব সম্প্রদায়-সমর্থিত সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে কেবল মারিবের দক্ষিণাঞ্চল। রাজধানী সানাসহ দেশের বাকি প্রায় সব অঞ্চল হুতিদের নিয়ন্ত্রণে।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে হুতি বিদ্রোহীরা মারিবের দক্ষিণে আল-বাইদা প্রদেশ দখল করে এবং মারিবে সরকারনিয়ন্ত্রিত হারিব, আল-আব্দিয়া ও রাহাবাহ জেলায় হামলা শুরু করে। এরপর থেকেই অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে মরিয়া সরকারি বাহিনীও হুতিদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করে।

২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেনে চলমান গৃহযুদ্ধ ও সৌদি জোটের বিমান হামলায় নিহত হয়েছে লাখো মানুষ।

এ বিভাগের আরো খবর