যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, জৈব অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য করোনাভাইরাসকে সৃষ্টি করা হয়নি। এটির উৎস সম্পর্কে হয়তো কখনোই কিছু জানা যাবে না।
করোনার উৎসসংক্রান্ত হালনাগাদ মূল্যায়নে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালকের কার্যালয় (ওডিএনআই) বলে, ‘প্রাণী থেকে মানবদেহে সংক্রমণ ও ল্যাব থেকে ছড়ানো- এই দুটি করোনার উৎস সম্পর্কে সম্ভাব্য অনুমান হিসেবে দেখা হয়।
‘তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছার মতো পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।’
বিবিসির শনিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়, ‘করোনার উৎস নিয়ে গোয়েন্দা মহল বিভক্ত। চারটি গোয়েন্দা সংস্থা ক্ষীণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে জানায়, সংক্রমিত প্রাণী বা সংশ্লিষ্ট কোনো ভাইরাস থেকে করোনার উৎপত্তি হয়।
‘আরেকটি সংস্থা জানায়, ল্যাবরেটরিতে দুর্ঘটনার ফলে করোনা প্রথম মানবদেহে বাসা বাঁধে। সম্ভবত উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে প্রাণী নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় ওই দুর্ঘটনা হয়। এ বিষয়ে ওই সংস্থার আত্মবিশ্বাস মাঝারিপর্যায়ের।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০১৯ সালের শেষে চীনের উহান শহরে কোভিড-১৯ প্রথম শনাক্ত হওয়ার আগে চীনের কর্মকর্তারা করোনার অস্তিত্ব সম্পর্কে কিছু জানতেন না।
‘তবে করোনার উৎস জানতে বৈশ্বিক উদ্যোগে বাধা দেয় চীন। এ বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য জানাতেও আন্তরিক ছিল না দেশটি।’
চলতি বছরের মে মাসে করোনার উৎসসংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ছাপায় দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের নভেম্বরে চীনের উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির তিন গবেষক অসুস্থ হন। হাসপাতালে তারা চিকিৎসাধীনও ছিলেন। করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ে চীন আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বকে জানানোর আগেই ওই গবেষকদের অসুস্থতার ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরপরই করোনার উৎস আরো গভীরভাবে অনুসন্ধানে জোর দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার ওই প্রতিবেদন সম্পর্কে ওয়াশিংটনে চীনা রাষ্ট্রদূত এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘করোনার উৎস জানতে বিজ্ঞানীদের ওপর নির্ভর না করে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করা রাজনৈতিক প্রহসন ছাড়া আর কিছু নয়।’