তাজিকিস্তানে আফগান সীমান্তের কাছে একটি পুলিশ ঘাঁটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। এ জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তাও দেবে দেশটি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার তাজিকিস্তান সরকারের এক কর্মকর্তা এ বিষয়টি জানান বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আফগানিস্তানে সক্রিয় বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে তালেবান সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবে কি না, এ নিয়ে চীন ও তাজিকিস্তানের উদ্বেগের মধ্যেই বেইজিং ওই ঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগান সীমান্তে ঘাঁটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে চীন ও দরিদ্র দেশ তাজিকিস্তানের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা শক্তিশালী হবে।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আরেকটি ঘাঁটি চীন নির্মাণ করতে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়।
তাজিকিস্তান পার্লামেন্টের এক মুখপাত্র জানান, পর্বতময় গরনো-বাদাখশান প্রদেশের ইশকাশিম জেলায় চীনকে ঘাঁটি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মুখপাত্র বলেন, ‘ঘাঁটি নির্মাণ ব্যয় পুরোটাই বহন করবে চীন। ঘাঁটিটি নির্মাণের পর সেটি তাজিক পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
ঘাঁটি নির্মাণের জন্য চীন ৮৫ লাখ ডলার দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এএফপিকে জানায়, ‘আমরা আপনাদের আশ্বস্ত করে বলতে চাই, মধ্য এশিয়ায় আমাদের কোনো সামরিক ঘাঁটি নেই।’
১৫ আগস্ট কাবুল পতনের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। এর কয়েক সপ্তাহ পর নিজেদের ৩৩ নেতা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে গোষ্ঠীটি।
তালেবানের এই নতুন সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী চীন। তবে সীমান্তবর্তী প্রদেশ শিনজিয়াংয়ে জাতিগত সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ নেতাদের দমনে তালেবান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং।
সীমান্ত চৌকি নির্মাণ ও শক্তিশালী করতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের কাছ থেকে সম্প্রতি আর্থিক সহায়তা পায় প্রায় এক কোটি জনসংখ্যার দেশ তাজিকিস্তান।
শিনজিয়াংয়ের সীমান্তবর্তী গরনো-বাদাখশান প্রদেশে তাজিকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে একটি সামরিক ঘাঁটি চীন পরিচালনা করতে চায় বলেও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে আসে।