বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্কুলে যাওয়া বন্ধ, ব্যবসা শিখছে আফগান কিশোরীরা

  •    
  • ২৪ অক্টোবর, ২০২১ ২২:৩৬

তালেবানের আগ্রাসনে ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক সরকারের শাসনামলে আফগানিস্তানে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অনেক নারী কর্মরত ছিলেন। গত দুই মাসে তাদের প্রায় সবাই চাকরি হারিয়েছেন। জীবিকা উপার্জনের বিকল্প হিসেবে তারাও হস্তশিল্প শিখছেন এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

কট্টরপন্থি তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে কিশোরী ও নারীদের স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ। সময় কাটাতে তাই অর্ধশতাধিক কিশোরী ও তরুণী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে ভর্তি হয়েছে। শিখছে কাপড় সেলাই, নিচ্ছে সৌন্দর্যবর্ধন প্রশিক্ষণ।

স্থানীয় টোলো নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাড়িতে বসে সময় কাটানো কঠিন বলে একঘেয়েমি দূর করতে হাতের কাছে যে সুযোগ আছে, তারই সদ্ব্যবহার করছে অনেক আফগান কিশোরী ও তরুণী।

সামিরা শারিফি নামের এক শিক্ষার্থী বলে, ‘কয়েক মাস ধরে বাড়িতে বসে আছি। স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। কোনো না কোনো কাজ তো শিখতে হবে। এভাবে হাত গুটিয়ে বাড়িতে কতদিনই বা বসে থাকব?’

মেহনাজ গোলামি নামের আরেক ছাত্রী বলে, ‘নিজের ভবিষ্যতের জন্য আর পরিবারকে সাহায্য করতে চাই বলে কোনো কাজ শিখতে চাই আমি। চেয়েছিলাম তো স্কুলে যেতে। স্কুল খোলা থাকলে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারতাম।’

আফগানিস্তানে সম্প্রতি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে যোগ দেয়া প্রশিক্ষণার্থীদের বেশিরভাগই মাধ্যমিকপড়ুয়া অথবা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী।

দেশজুড়ে তালেবান মেয়েদের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পথ বন্ধ রেখেছে। এমন পরিস্থিতিতে হেরাত প্রদেশের অনেক কিশোরী ও নারী কারিগরি প্রশিক্ষণকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।

শাকাইক গাঞ্জি নামের এক শিক্ষার্থী বলে, ‘আমরা শিক্ষাগ্রহণের পাশাপাশি দর্জির কাজ শেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

লাইলি সোফিজাদা নামের এক শিক্ষিকা বলেন, ‘এখন প্রতিটি নারীর উচিত নিজের পরিবার ও স্বামীকে সহযোগিতার জন্য সেলাই শেখা। কারণ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভীষণ খারাপ।’

মেয়েদের জন্য স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর কারিগরি শিক্ষা কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে।

হেরাতের শ্রম ও সমাজকল্যাণ বিভাগের কারিগরি ও কর্মজীবী বিষয়ক পরিচালক ফাতিমা তোখি বলেন, ‘আমাদের শ্রেণিকক্ষগুলোর ধারণক্ষমতা ২০ থেকে ২৫ জনের। এখন একেকটি ক্লাসে ৪৫ জন পর্যন্ত নিতে হচ্ছে আমাদের।

‘স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা উদ্যম হারাতে বসেছে।’

হেরাতের শ্রম ও সমাজকল্যাণ বিভাগ জানিয়েছে, প্রদেশটির নারীদের কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানে নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।

সংস্থাটির প্রধান মোল্লা মোহাম্মদ সাবিত বলেন, ‘শিল্প ও পেশাগত খাত, কিন্ডারগার্টেন বিভাগগুলোতে নিয়মিত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তাদের পূর্ণ সহযোগিতা দিচ্ছি আমরা। নিয়মিত তত্ত্বাবধানও করা হচ্ছে।’

তালেবানের আগ্রাসনে ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক সরকারের শাসনামলে আফগানিস্তানে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অনেক নারী কর্মরত ছিলেন। গত দুই মাসে তাদের প্রায় সবাই চাকরি হারিয়েছেন। জীবিকা উপার্জনের বিকল্প হিসেবে তারাও হস্তশিল্প শিখছেন এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

এ বিভাগের আরো খবর