চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে, চীনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ৯০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এ হিসেবে গত বছরের তুলনায় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বেড়েছে প্রায় ৪৯ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এই তথ্য জানিয়েছেন। যদিও দুই দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারসাম্যের বড় অংশই চীনের দিকে ঝুঁকে রয়েছে। এ অবস্থায় ভারত চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য প্রয়াস চালিয়ে যেতে থাকবে বলে জানিয়েছেন শ্রিংলা।
তিনি বলেছেন, ‘এই হারে, আমরা সম্ভবত দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য অর্জন করতে পারি।’
এর আগে দুই দেশের মধ্যে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৮৮ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে, হর্ষবর্ধন শ্রিংলার দেয়া তথ্য ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণের একটি অংশ তুলে ধরে বিরোধীরা সরকারকে দুমুখো বলে মন্তব্য করেছে।
শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে মোদি বলেছিলেন, ‘প্রতিটি ছোট জিনিস কেনার উপর জোর দেওয়া উচিত, যা মেড ইন ইন্ডিয়া। যা কোনো এক ভারতীয় তৈরি করতে মাথা ঘামায়। আর এটা সম্ভব হবে শুধুমাত্র সবার প্রচেষ্টায়।’
শ্রিংলার তথ্য আর প্রধানমন্ত্রীর শ্লোগান সরকারের ‘জুমলা’ ও ‘দ্বিচারিতা’ বলে চিহ্নিত করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
তিনি বলেছেন, ‘লাদাখে সামরিক হানাহানি এবং চীনা পণ্য বর্জন করার আহ্বানের পাশাপাশি চীনা আমদানির উপর নির্ভরতা কমাতে সরকারের প্রচেষ্টার পরও বাণিজ্যে ঘাটতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা সরকারের নিয়মিত দ্বিচারিতা ছাড়া আর কী?’
চীনের সঙ্গে বর্ধিত বাণিজ্য ছাড়াও দেশে ১০০ কোটি করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ দেয়া নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস।
এক টুইটে দলটির পক্ষ থেকে একটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, সারা বিশ্বে ৩৭ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার দুটি ডোজই নিয়েছেন। একই সময়ে, ভারতে মাত্র ২১ শতাংশ মানুষ করোনার ডোজ পেয়েছেন।
কংগ্রেস লিখেছে, ‘এটা সরকারের মিথ্যাচারের আরেকটা নমুনা।’