বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হামলা হলে তাইওয়ানের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র: বাইডেন

  •    
  • ২২ অক্টোবর, ২০২১ ১৩:১৪

বাইডেনের বক্তব্যের জবাবে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র জেভিয়ার চেং জানান, চীনের চাপে নতি স্বীকার করবে না তাইপে। সামরিক সহযোগিতা পেলেও আগ বাড়িয়ে হামলার পরিকল্পনাও নেই। নিজেদের রক্ষায় তাইওয়ানের দৃঢ়সংকল্প বিশ্ব আগামীতে দেখবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, চীন তাইওয়ানে হামলা চালালে ওয়াশিংটন চুপ থাকবে না। তাইওয়ানের আত্মরক্ষায় এগিয়ে আসবে যুক্তরাষ্ট্র।

মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বাইডেন এসব মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে বিবিসিআল-জাজিরা

বাইডেনের ওই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তাইওয়ান বিষয়ে দীর্ঘদিনের ‘কৌশলগত অস্পষ্টতা’ থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে এসেছে বলে মনে করছেন অনেকে।

তাইওয়ানকে অনেক আগে থেকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে অসমর্থিত সূত্রের বরাতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছিল, কমপক্ষে গত এক বছর ধরে তাইওয়ানের সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর প্রায় দুই ডজন সদস্য প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে।

অবশ্য চীন হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে সহায়তায় এগিয়ে আসবে এমন অঙ্গীকার এর আগে স্পষ্টভাবে কখনো করেনি ওয়াশিংটন। বরং তাইওয়ান ইস্যুতে বরাবরই এক ধরনের ধোঁয়াশার মধ্যে বিশ্বকে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বাইডেনের বক্তব্যের পর হোয়াইট হাউস সাংবাদিকদের জানিয়েছে, তাইওয়ান প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।

হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র বলেন, ‘তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক তাইওয়ান রিলেশন্স অ্যাক্টের মাধ্যমে পরিচালিত। এ অ্যাক্টের অধীনে আমরা আমাদের অঙ্গীকার সমুন্নত রাখব।

‘পাশাপাশি তাইওয়ানের আত্মরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বিদ্যমান পরিস্থিতির একতরফা পরিবর্তন হলে আমরা বিরোধিতা করব।’

তাইওয়ানের সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্রের না থাকলেও তাইওয়ান রিলেশন্স অ্যাক্ট অনুযায়ী দ্বীপটিতে অস্ত্র বিক্রি করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

বাইডেনের বক্তব্যের জবাবে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র জেভিয়ার চেং জানান, চীনের চাপে নতি স্বীকার করবে না তাইপে। সামরিক সহযোগিতা পেলেও আগ বাড়িয়ে হামলার পরিকল্পনাও নেই। নিজেদের রক্ষায় তাইওয়ানের দৃঢ়সংকল্প বিশ্ব আগামীতে দেখবে।

চলতি মাসের শুরুতে বাইডেন জানান, চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তাইওয়ান চুক্তি মেনে চলার বিষয়ে উভয় দেশ একমত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘তাইওয়ান বিষয়ে শিয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তাইওয়ান চুক্তি অনুযায়ী কাজ করার বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি। আমার মনে হয় না, শি চুক্তি ভঙ্গ করবেন।’

তবে বাইডেন শিয়ের সঙ্গে তাইওয়ানের কোন চুক্তির বিষয়ে কথা বলেন, তা পরিষ্কার নয়। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে ‘এক-চীন নীতির’ সমর্থক, যেখানে ওয়াশিংটন আনুষ্ঠানিকভাবে চীনকে স্বীকৃতি দেয়, তাইওয়ানকে নয়।

সম্প্রতি তাইওয়ানের ওপর সামরিক চাপ বৃদ্ধি করেছে চীন।

১ অক্টোবর চীনের জাতীয় দিবসের দিন থেকে টানা চার দিন তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রায় দেড় শটি যুদ্ধবিমান পাঠায় চীন।

ওই ঘটনার পর চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে।

উভয় দেশের মধ্যে এ ধরনের উত্তেজনা গত ৪০ বছরে দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছিলেন তাইয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কুও-চেং।

এ ছাড়া ২০২৫ সালের ভেতর চীন তাইওয়ানে সর্বাত্মক আক্রমণ চালাতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তাইওয়ানকে নিজেদের অঙ্গরাজ্য দাবি করা চীন ফের এটি দখলে বিভিন্ন সময়ে অঙ্গীকার করে আসছে। এ ছাড়া তাইওয়ানের নির্বাচিত সরকারকে শুরু থেকেই ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে আসছে চীন।

অন্যদিকে নিজেদের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দেখে তাইওয়ান।

এ বিভাগের আরো খবর