যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন দুই দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি হাসপাতালে চলছে তার চিকিৎসা। অবস্থা উন্নতির দিকে হলেও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া ইর্ভিন মেডিক্যাল সেন্টারে স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভর্তি করা হয় ক্লিনটনকে।
ক্লিনটনের চিকিৎসকরা বৃহস্পতিবার জানান, ৭৫ বছর বয়সী সাবেক এই রাজনীতিকের অবস্থা বর্তমানে ভালোর দিকে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে নিশ্চিত করেছেন ক্লিনটনের মুখপাত্র অ্যাঞ্জেল ইউরেনা।
রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘ক্লিনটন দ্রুত সেরে উঠছেন। হাসপাতালে ভালো যত্ন পাচ্ছেন তিনি। কর্মীদের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল সময় কাটছে তার।’
ক্লিনটনের অসুস্থতার খবর প্রথম প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যম সিএনএন। তার চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘ক্লান্তি অনুভব করায় হাসপাতালে গিয়েছিলেন ক্লিনটন। এরপর তার রক্তনালিতে প্রদাহ শনাক্ত হলে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। ধারণা করা হচ্ছে, মূত্রনালিতে সংক্রমণ শুরু হয়েছে তার।’
ক্লিনটনের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং শিরার মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিক ও অন্যান্য তরল প্রয়োগ করা হয় বলে জানিয়েছেন তার দুই চিকিৎসক অ্যালপেশ আমিন ও লিসা বারডাক।
এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘অব্যাহত পর্যবেক্ষণের জন্য এখনও ক্লিনটনকে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। দুই দিন চিকিৎসা নেয়ার পর তার রক্তে শ্বেতকণিকার পরিমাণ স্বাভাবিক হচ্ছে এবং অ্যান্টিবায়োটিক ভালো কাজ করছে তার দেহে। আশা করছি, তিনি শিগগিরই বাড়ি ফিরতে পারবেন।’
১৯৯৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ডেমোক্র্যাট নেতা বিল ক্লিনটন। অতীতে বিভিন্ন সময় নানা গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতায় ভোগার ইতিহাস রয়েছে তার।
২০০৪ ও ২০১০ সালে হৃদরোগজনিত কারণে বড় ধরনের অস্ত্রোপচারও হয় তার দেহে। সিএনএন জানিয়েছে, বর্তমানে ক্লিনটনের হাসপাতালে ভর্তি থাকার সঙ্গে হৃদরোগের কোনো সম্পর্ক নেই।