বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘরের ছাদ ভেঙে বিছানায় উল্কাপিণ্ড!

  •    
  • ১২ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:৩২

অল্পের জন্য মৃত্যু এড়ানো হ্যামিলটন বলেন, ‘আমি লাফিয়ে উঠে আলো জ্বালাই। বুঝতেই পারছিলাম না যে মাত্র কী ঘটে গেল।’ বালিশের ওপর পাথরের টুকরোটি পড়েছিল। সাধারণত ওই জায়গাতেই মাথা রেখে ঘুমান হ্যামিলটন। কিছু বুঝতে না পেরে সাহস সঞ্চয় করে রহস্য উদঘাটনে জরুরি সেবাকেন্দ্র ৯১১-এ ফোন করেন তিনি।

সম্প্রতি কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের একটি পার্বত্য এলাকায় চোখধাঁধাঁনো উল্কাপাতের সাক্ষী হয়েছিলেন বাসিন্দারা। হ্রদের ওপর রাতের আকাশ চিরে নেমে আসতে দেখেছেন জ্বলন্ত উল্কাপিণ্ডকে। বাকিদের জন্য প্রকৃতির বিস্ময়কর খেয়াল হলেও একই ঘটনা দুঃস্বপ্নের মতো তাড়া করেছিল এক নারীকে।

স্থানীয় ভিক্টোরিয়া নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজের বাড়িতে নিজ বিছানায় ঘুমিয়েছিলেন রুথ হ্যামিলটন নামের ওই নারী। আচমকাই ছাদ ভেঙে উল্কার একটি টুকরো বিছানায় আছড়ে পড়ে ঠিক তার পাশেই। তীব্র শব্দে জেগে ওঠেন তিনি, কিছু বোঝার আগেই মুখে ধুলা-ময়লা অনুভব করেন।

কী ঘটছে বুঝতে না পেরে আশপাশে তাকিয়ে দেখেন তার বালিশের ওপর পড়ে আছে বড় একটি পাথরের খণ্ড। কয়েক ইঞ্চি দূরে সাক্ষাৎ মৃত্যুর বার্তা যেন ছিল পাথরটি।

অল্পের জন্য মৃত্যু এড়ানো হ্যামিলটন বলেন, ‘আমি লাফিয়ে উঠে আলো জ্বালাই। বুঝতেই পারছিলাম না যে মাত্র কী ঘটে গেল।’

বালিশের ওপর পাথরের টুকরোটি পড়েছিল। সাধারণত ওই জায়গাতেই মাথা রেখে ঘুমান হ্যামিলটন। কিছু বুঝতে না পেরে সাহস সঞ্চয় করে রহস্য উদঘাটনে জরুরি সেবাকেন্দ্র ৯১১-এ ফোন করেন তিনি।

কয়েক কিলোমিটার পূর্বে লেক লুইস নামের একটি বরফের হ্রদের কাছে দর্শনার্থীরা জড়ো হয়েছিলেন রাতের আকাশে উল্কাপাতের দৃশ্য উপভোগ করতে। গত ৪ অক্টোবরের ঘটনা এটি।

হ্যামিলটনের ফোন পেয়ে তার বাড়িতে পৌঁছায় পুলিশ, পাথরটি কোত্থেকে এসে পড়েছে- তা খতিয়ে দেখতে শুরু করে অনুসন্ধান।

নিকটবর্তী একটি নির্মাণ প্রকল্পে কাজ চলছে বলে পুলিশ জানতে পারলেও সেখান থেকে পাথরটির ওই বাড়িতে পড়ার কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ। বরং পাথরের রাসায়নিক বিশ্লেষণে জানা যায়, কোনো ধরনের বিস্ফোরণের ফল সেটি।

সবদিক বিবেচনা করে পুলিশ কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে উল্কাপাতের ওই রাতে একটি উল্কাপিণ্ডই হ্যামিলটনের বাড়িতে আঘাত হেনেছে।

হ্যামিলটন বলেন, ‘আমি এই ঘটনায় কেঁপে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম কেউ হয়তো আমার বাড়িতে ঢুকে পড়েছে। কিংবা বন্দুকধারী কেউ হামলা চালিয়েছে। সেগুলো না হয়ে আকাশ থেকে আমার বাড়িতে কিছু খসে পড়া বরং অনেকটা স্বস্তির খবর।

টরোন্টো স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘খুব অপ্রত্যাশিত একটি ঘটনার সাক্ষী হলাম। কয়েক ঘণ্টা কাঁপুনি ছিল শরীরে। কিন্তু জীবিত আছি, সেজন্য কৃতজ্ঞ।’

নাতি-নাতনিদের দেখানোর জন্য উল্কাপিণ্ডটি সংরক্ষণ করার কথা ভাবছেন হ্যামিলটন।

বাড়ির ছাদের আংশিক ভেঙে যাওয়ার ক্ষতিও পুষিয়ে দেবে বীমা কোম্পানি। যদিও নজিরবিহীন এমন ঘটনার সম্মুখীন আগে কখনো হয়নি হ্যামিলটনের বাড়ির বীমাকারী সংস্থা।

এ বিভাগের আরো খবর