বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কানাডার প্রধানমন্ত্রী থাকবেন ট্রুডো?

  •    
  • ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২১:২২

আগাম নির্বাচনের সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে আঘাত করতে বসেছে ট্রুডোকেই। মহামারির চতুর্থ ধাক্কা আসন্ন পরিস্থিতির মধ্যে আগাম নির্বাচনের দরকার ছিল কি না, সে প্রশ্নে তোপের মুখে ট্রুডোর ভাগ্য; যার সুযোগে গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে গেছে প্রধান বিরোধী দলের। এ অবস্থায় এখন প্রধানমন্ত্রিত্ব বাঁচাতেই মরিয়া ট্রুডো।

দিন গড়ালেই কানাডায় শুরু হবে সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। সোমবারের ভোটের দুই দিন আগে শনিবার টরন্টো অঞ্চলে প্রচার চালিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী এরিন ও’টুল। প্রচারের শেষ দিকে এসে দুই প্রার্থীরই উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ভোট বিভাজনের শঙ্কা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, জনমত জরিপে ক্ষমতাসীন ও প্রধান বিরোধী দলের পাশাপাশি তুলনামূলক কম জনপ্রিয় দুটি দলের প্রতি মানুষের সমর্থন বেড়েছে। দল দুটি হলো বামঘেঁষা নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) ও পপুলিস্ট বা গণমানুষের কথা বলার দাবি করা পিপলস পার্টি অফ কানাডা (পিপিসি)।

জরিপ সংস্থা সুন্দাশ লেজারের সবশেষ জরিপ বলছে, ট্রুডোর উদারপন্থি (লিবারেল পার্টি) ও টুলের রক্ষণশীলদের (কনজারভেটিভ) মধ্যে জনসমর্থনের পার্থক্য মাত্র ১ শতাংশ। ৩৩ শতাংশ সমর্থনে এগিয়ে আছে উদারপন্থিরা, ৩২ শতাংশ সমর্থন রয়েছে রক্ষণশীলদের প্রতি।

বিপরীতে এনডিপি ও পিপিসির জনসমর্থন বেড়ে যথাক্রমে ১৯ শতাংশ ও ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

এ অবস্থায় নির্বাচনে দল দুটির পরাজয় নিশ্চিত হলেও তাদের প্রাপ্ত ভোট প্রধান দুই দলের হারজিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে শঙ্কা ট্রুডো ও টুলের।

৪৯ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো এবারের নির্বাচনে জিতলে টানা তৃতীয়বার দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। বর্তমান পার্লামেন্টে তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় প্রশ্নের মুখে জনসমর্থনের প্রমাণ দিতে আগাম নির্বাচন দিয়েছেন তিনি।

কিন্তু তার এ পদক্ষেপ বুমেরাং হয়ে আঘাত করতে বসেছে ট্রুডোকেই। মহামারির চতুর্থ ধাক্কা আসন্ন পরিস্থিতির মধ্যে আগাম নির্বাচনের দরকার ছিল কি না, সে প্রশ্নে তোপের মুখে ট্রুডোর ভাগ্য; যার সুযোগে গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে গেছে প্রধান বিরোধী দলের। এ অবস্থায় এখন প্রধানমন্ত্রিত্ব বাঁচাতেই মরিয়া ট্রুডো।

ওন্টারিওর অরোরায় ট্রুডো বলেন, ‘এনডিপি যা-ই বলুক না কেন, জনগণ কনজারভেটিভ আর লিবারেলদের মধ্য থেকেই কাউকে সরকার হিসেবে বেছে নেবে। আর আমাদের সরকার উদারপন্থি কি না, তার প্রভাব কানাডার সমাজে পড়বেই।’

৩৬ দিনের নির্বাচনী প্রচারের শেষ তিন দিনের দুই দিনই ওন্টারিওতে কেটেছে ট্রুডোর। কারণ জনমত জরিপ বলছে, ওন্টারিওতে এনডিপির ভাগ্যে কোনো আসন জুটলে ভাগ পড়বে উদারপন্থিদের আসনসংখ্যায়।

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ফল হতে পারে, আবারও জগমিৎ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন এনডিপির সঙ্গে সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে হতে পারে ট্রুডোর দলকে।

শনিবার প্রকাশিত আরেকটি জরিপের ফলে ট্রুডোর দল এগিয়ে ৩০ দশমিক ৬ শতাংশ ভোটে, বিপরীতে রক্ষণশীলদের প্রতি সমর্থন ২৭ দশমিক ৭ শতাংশ। এই হার বজায় থাকলেও কোনো দলই একক সরকার গঠন করতে পারবে না।

৩৩৮ আসনের হাউস অফ কমন্সে একক সরকার গঠনে কমপক্ষে ১৭০টি আসনে জয় নিশ্চিত করতে হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলকে।

জনমত জরিপের ফলের ওপর ভিত্তি করে ট্রুডোকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এটাই তার শেষ নির্বাচন হতে যাচ্ছে কি না। তিনি বলেছেন, ‘এখনও অনেক কাজ বাকি এবং আমি সব কাজ শেষ করার ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারিনি।’

রক্ষণশীল নেতা এরিন ও’টুল শনিবারের প্রচারে ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, ‘ট্রুডো তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’

পিপিসিকে একহাত নিতে লিবারেলদের প্রতি অসন্তুষ্ট ভোটারদের জন্য কনজারভেটিভই একমাত্র বিকল্প বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এনডিপি যেমন লিবারেলদের জন্য, তেমনি পিপিসি কনজারভেটিভদের ভোটে ভাগ বসাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে তুমুল প্রতিযোগিতাপূর্ণ জেলাগুলোতে পিছিয়ে যেতে পারে প্রধান দুই দল।

এ বিভাগের আরো খবর