তালেবানের প্রকৃত শরিয়া আইন অনুসরণ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।
তিনি বলেন, ‘তালেবানের উচিত প্রকৃত শরিয়া আইন অনুসরণ করা। যেখানে নারী-পুরুষ সবার অধিকার সুনিশ্চিত হবে।’
জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাম জেলার আখরান গ্রামে এক জনসমাবেশে বুধবার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) নেতা মেহবুবা মুফতি।
আফগানিস্তানে তালেবানের সরকার গঠন ও শরিয়া আইন চালুর ঘোষণা প্রসঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের নেতা মেহবুবা মুফতি বলেন, ‘তালেবানের হাতে দেশ শাসনের ঘটনা সত্য হয়ে উঠেছে। আগের তালেবান সরকারের ভাবমূর্তি ছিল মানবতাবিরোধী। যদি উনারা এবার আফগানিস্তান শাসন করতে চায়, তাহলে প্রকৃত শরিয়া আইন অনুসরণ করতে হবে। যেখানে নারী, শিশু ও বয়স্কদের অধিকার সুনিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।’
মেহবুবা মুফতি আরও বলেন, ‘যদি হযরত মোহাম্মদ (সা:) যেভাবে দেশ শাসন করতেন, তা অনুসরণ করা হয় তবে গোটা বিশ্বে নজির গড়বে তালেবান।
‘যদি আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে বাণিজ্য করতে বা নতুন সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় তালেবান, তবে তাদের ইসলাম ও শরিয়া আইনের কট্টর দিকগুলি না তুলে ধরাই ভাল হবে। যদি তা অনুসরণ না করা হয় তবে আফগানবাসীর জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।’
১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলে নেয় তালেবান। এর ২৩ দিন পর ৭ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা করা হয়।
সরকার ঘোষণার পরপর তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা জানান, সরকার গঠন এবং গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত শরিয়া আইনকে প্রাধান্য দিয়েই নেয়া হবে।
তবে প্রাচীন শরিয়া নাকি আধুনিক শরিয়া আইন অনুসরণ করা হবে সে বিষয়টি স্পষ্ট করেনি তালেবান।