বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কে এই মোল্লা হাসান আখুন্দ

  •    
  • ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০১:১১

আফগানিস্তানের কান্দাহার থেকে যাত্রা শুরু হয়েছিল তালেবানের। হাসান আখুন্দের জন্মও সেখানে। যে মূল ৩০ জনকে নিয়ে তালেবানের পথ চলা শুরু হয়েছিল, তাদেরই একজন হাসান আখুন্দ। একই সঙ্গে গোষ্ঠীটির সশস্ত্র আন্দোলনেরও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তিনি।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চার সপ্তাহ পর সরকারের ঘোষণা দিয়েছে কট্টর ইসলামপন্থি গোষ্ঠী তালেবান। তবে পূর্ণাঙ্গ সরকার গঠন না করে গঠন করা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

নতুন এই সরকারের প্রধান করা হয়েছে তালেবান নেতা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে। এতদিন সরকারপ্রধান হিসেবে যার নাম সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল, সেই আব্দুল গনি বারাদারকে করা হয়েছে সরকারের উপপ্রধান।

তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য থেকে রাষ্ট্রপ্রধান

এর আগে সরকারপ্রধান হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন তালেবানের রাজনৈতিক প্রধান মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার। মাঝে শোনা যাচ্ছিল তালেবান প্রধান হিবাতুল্লা আখুন্দজাদই হবেন রাষ্ট্রপ্রধান।

তবে সবাইকে চমকে দিয়ে উঠে এসেছে হাসান আখুন্দের নাম।

মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ বর্তমানে তালেবানের সর্বশক্তিশালী সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা রেহবাড়ি শুরা বা নেতৃত্ব পরিষদের প্রধান। তাদের পরামর্শ মেনেই চলেন তালেবানপ্রধান আখুন্দজাদ।

তালেবান জানিয়েছে, ২০ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে রেহবাড়ি শুরার প্রধানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন আখুন্দ।

আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশ থেকে যাত্রা শুরু হয়েছিল তালেবানের। হাসান আখুন্দের জন্মও সেখানে।

যে মূল ৩০ জনকে নিয়ে তালেবানের পথ চলা শুরু হয়েছিল, তাদেরই একজন হাসান আখুন্দ। একই সঙ্গে গোষ্ঠীটির সশস্ত্র আন্দোলনেরও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তিনি।

সামরিক ক্ষেত্রে ভূমিকার থেকেও তিনি তালেবানদের একজন ধর্মীয় নেতা হিসেবেই বেশি পরিচিত। পাকিস্তানের বিভিন্ন মাদ্রাসায় পড়াশোনা করা আখুন্দকে তার চরিত্র এবং নিষ্ঠার জন্য তালেবান সদস্যরা অত্যন্ত সম্মান করে।

সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে হাসান আখুন্দের। এর আগে তালেবান সরকারে যখন মোল্লা মোহম্মদ রাব্বানী আখুন্দ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, ওই সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন হাসান আখুন্দ। পরে উপপ্রধানমন্ত্রী হন তিনি।

২০০১ সালে কান্দাহার প্রদেশের গভর্নর এবং মন্ত্রিপরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্টের পদের দায়িত্বে ছিলেন আখুন্দ। প্রতিরক্ষা, গোয়েন্দা, অভ্যন্তরীণ বিষয়, সুপ্রিম কোর্ট, সংস্কৃতি ও যোগাযোগ, অ্যাকাডেমি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি। ২০১০ সালে তাকে বন্দিও করা হয়েছিল।

তবে এতকিছুর পরেও তালেবান নেতা হিসেবে খুব সাদাসিধাভাবে থাকেন মোল্লা হাসান আখুন্দ। তালেবান নেতা বারাদার, হাক্কানি এমনকি জাবিবুল্লাদের তুলনায় স্বল্প পরিচিত হলেও তাকে কাজে এগিয়ে থাকা বলেও মনে করে তালেবানরা।

এ বিভাগের আরো খবর